Header Ads

  • সর্বশেষ

    মঙ্গলে এস্ট্রোনটেরা কেমন বাড়িতে থাকবে তার ধারণা দিলেন বিজ্ঞানীরা।

    যদি এস্ট্রোনটদের কোন দিন মঙ্গলে পা দিতে হয় তবে নাসার বিজ্ঞানীদের অনেক জটিল সমস্যার সমাধান করতে হবে। অন্যতম বড় সমস্যা হল শুরুর দিকের এস্ট্রোনটদের বিশ্রাম। অনেকদিনের মাথা ঘামানোর পর বিজ্ঞানীরা একটি সমাধানে আসতে পেরেছেন।সমাধানটি হল "আইস হোম।" হ্যাঁ, নাসা এক ধরণের ঘরের কথা চিন্তা করছে যেগুলো ফোলানো যায়। তার উপরে বরফের আস্তরণ থাকবে।এসব ঘরের ভেতরেই এস্ট্রোনটরা কাজ করবে ও বসবাস করবে। কারন বরফ রেডিয়েশন বাধা দিতে পারে। সেই সাথে তাপমাত্রার দ্রুত পরিবর্তনের সমস্যারও সমাধান হবে।

    তা আসলে "আইস হোম।" কি? নামটা শুনে ইগলু'র কথা মনে আসে না? মনের মাঝে যে ঘরটার ছবি আসে,নাসা যে  "আইস হোম।" নিয়ে কাজ করছে,সেটার চেহারা তার থেকে খুব বেশী আলাদা হবেনা। সেটা দেখতে নিচের ছবির মত দেখতে হবে। এটার অফিশিয়াল নাম "মার্স আইস হোম।"

    "মার্স আইস হোম।" এর ব্যাপারে সবার আকর্ষণের কয়েকটি কারণ আছে। এগুলো ওজনে খুব পাতলা হবে। যাতে খুব সহজেই এক জায়গা থেকে অন্য জায়গাতে পরিবহন করা যায়। তারপর ক্রু আসার আগেই এটাকে পানি দিয়ে পূর্ণ করা যায়। এগুলো মঙ্গলে পাওয়া পদার্থ দিয়ে তৈরি করা হবে। কারণ "মার্স আইস হোম।"এর পানি দিয়ে খুব সহজেই মার্স এসেন্ট ভেহিকেল'র জন্য রকেট জ্বালানি তৈরি করা যাবে। "মার্স আইস হোম।" এর আসল উদ্দেশ্য হল এস্ট্রোনটদের উচ্চ শক্তির রেডিয়েশন থেকে রক্ষা করা, যেমন কসমিক রশ্মি, যেগুলো খুব সহজেই মঙ্গলের বায়ুমন্ডলে ধুকে পড়তে পারে। এই  রশ্মি মানুষের শরীরের কোষ ধ্বংস করে ফেলতে পারে। সেই সাথে ক্যান্সার এবং রেডিয়েশন সিকনেসের মত অসুখও হতে পারে। যেহেতু পানির বরফে হাইড্রোজেন বেশী থাকে, তাই এটি রেডিয়েশন ঠেকাবার জন্য বেশ ভালো একটি উপকরণ। নিচের ছবিটিতে "মার্স আইস হোম।" এর ভেতরটা কেমন হবে তা বেশ ভালোভাবেই দেখানো হয়েছে।সেই সাথে "মার্স আইস হোম। এর আইস ডোমটা কেমন হবে সেটাও ভালো করেই বোঝা যায়। 

    "যেসব জিনিস দিয়ে মার্স আইস হোম তৈরি তা অবশ্যই বহুবছর মঙ্গলের প্রতিকুল আবহাওয়াতে টিকে থাকতে হবে। এর ভেতর অতিবেগুনী রশ্মি, চার্জড পারটিকেল, কিছু অক্সিজেন, পারক্লোরেট  সেই সাথে মঙ্গলের ধূলিঝড়তো আছেই।তবে সে ধূলিঝড় "দ্য মারসিয়ান" মুভির মত এতটা ভয়ঙ্কর নয়।" বলেন ল্যাংলি রিসার্চ সেন্টারের শেইলা অ্যান থাইবিওল্ট। মঙ্গলের প্রতিকূল আবহাওয়া থেকে রক্ষা করা ছাড়াও এই সব হালকা আইস হোমের ধারণা নিয়ে বড় সেটেলমেন্টও গড়ে তোলা সম্ভব বলে বিজ্ঞানীদের ধারণা। 
    "কয়েক মাস স্পেসশীপে ভ্রমনের পর এস্ট্রোনটেরা যখন মঙ্গলে পৌছবে এবং দেখবে তাদের বিশ্রাম নেবার জায়গাটা প্রস্তুত হয়ে আছে, তাদের কাছে দিনটা অনেক সুন্দর মনে হবে।" বলেন ঐ দলের সদস্য কেভিন কেম্পটন। তবে এখনও মার্স আইস হোম বিজ্ঞানীদের ধারণার মাঝেই আছে।

    No comments

    Post Top Ad

    Post Bottom Ad