Header Ads

  • সর্বশেষ

    Black hole

    ব্ল্যাক হোল হল একটা এলাকা যেখানকার আকর্ষণ বল বা গ্র্যাভিটি থেকে কোন কণা বা ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশন যেমন আলো পর্যন্ত বেরিয়ে আসতে পারেনা। জেনারেল রিলেটিভিটি তত্ত্ব ভবিষ্যতবাণী করে যে এক জায়গাতে পুঞ্জীভূত ভর স্পেস টাইমকে বাঁকিয়ে ব্ল্যাক হোলে পরিণত করতে পারে। ব্ল্যাক হোলে যে সীমানা থেকে কোনকিছু ফেরত আসতে পারেনা, তার নাম ইভেন্ট হরাইজোন। যদিও ইভেন্ট হরাইজোন পার হওয়া অনেক কষ্টসাধ্য ব্যাপার, কিন্তু পার হয়ে গেলে বস্তুটিকে আকারে সংজ্ঞায়িত করার কোন উপায় থাকেনা। অনেক ক্ষেত্রে এটি আদর্শ কালো বস্তুর আচরণ করে কারণ এ থেকে আলোও বের হতে পারেনা। কোয়ান্টাম ফিল্ড থিয়োরি ইন কারভড স্পেস টাইম অনুসারে ব্ল্যাক হোল "হকিং রেডিয়েশন" বিকিরণ করে। একই বর্ণালী দেয় আদর্শ কালো বস্তুর মত যেটা "তাপমাত্রা ভরের ব্যাস্তানুপাতিক" এই সুত্র দেয়। 


    ১৮শ শতকে জন মিশেল ও পিয়েরে-সাইমন লাপ্লাস সর্বপ্রথম কোন উচ্চ গ্র্যাভিটি সম্পন্ন বস্তুর ধারণা দেন, যেটার আকর্ষণ বল আলোর জন্য অনেক বেশী। ১৯১৬ সালে কার্ল সোয়ারচাইল্ড জেনারেল রিলেটিভিটির সাহায্যে ব্ল্যাক হোলের সংজ্ঞা দেন। অবশ্য "মহাকাশের কোন স্থানের আকর্ষণ বল থেকে কিছুই বের হতে পারবেনা" এমন ধারণা সর্বপ্রথম দেন ডেভিড ফিনকেলস্টেইন, ১৯৫৮ সালে। দীর্ঘদিন এটি ছিল গাণিতিক জিজ্ঞাসা, কিন্তু ৬০এর দশকে প্রমাণিত হয় যে এটি জেনারেল রিলেটিভিটির আসল ভবিষ্যতবাণী ছিল। নিউট্রন স্টার আবিষ্কার হবার পর এ ধারনা আরও পাকাপোক্ত হয়। 

    স্টেলার মাস ব্ল্যাক হোল তৈরি হয় যখন সূর্যের চেয়ে অনেক ভারী তারা নিজের জীবনের শেষ দিকে গ্র্যাভিটির কারণে নিজের কেন্দ্রে পুঞ্জীভূত হয়। ব্ল্যাক হোল তৈরি হবার পরও সে তার আশেপাশের বিভিন্ন ভরের বস্তু তার দিকে টানতে পারে। আশেপাশে তারা ও অন্য ব্ল্যাক হোলের সাথে একীভুত হয়ে সে বড় হতে থাকে। এক সময় এটি সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাক হোলে পরিনত হয়, যার ভর বিলিয়ন সূর্যের চেয়েও বেশী হতে পারে। বেশীরভাগ গ্যালাক্সীর কেন্দ্রেই একটি সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাক হোল আছে বলে ধরে নেয়া হয়। 

    ব্ল্যাক হোল অদৃশ্য হলেও অন্যান্য বস্তুকে প্রভাবিত করার কারনে তার উপস্থিতি বের করা যায়। এতে ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশন ছড়ায় যেমন দৃশ্যমান আলো। যেসব বস্তুকে ব্ল্যাক হোল ভেতরের দিকে টানে ঘর্ষণের কারনে তার চারপাশে বলয়ের মত তৈরি হয়।একে এক্রিশন ডিস্ক বলে। ব্ল্যাক হোলের গ্র্যাভিটির সাথে এই ডিস্কের আকর্ষণের কারণে ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশনের সৃষ্টি হয়। এটা থেকে মহাকাশের অন্যতম উজ্জ্বল বস্তুর সৃষ্টি হয়। যদি ব্ল্যাক হোলটির চারিদিকে কোন তারা প্রদক্ষিণ করে, তবে তাদের প্রতিক্রিয়া থেকে ব্ল্যাক হোলটির ভর ও অবস্থান বের করা যেতে পারে। এভাবে জ্যোতিরবিজ্ঞানীরা অসংখ্য ব্ল্যাক হোল ও তারার বাইনারী সিস্টেম আবিষ্কার করেছেন। আমাদের গ্যালাক্সী মিল্কিওয়ের কেন্দ্রে যে ব্ল্যাক হোলটি আছে, তার নাম স্যাজিট্যারিয়াস এ*। সূর্যের চেয়ে ৪.৩ বিলিয়ন গুন ভারী।     

    No comments

    Post Top Ad

    Post Bottom Ad