Header Ads

  • সর্বশেষ

    সূর্যালোক। Sunlight

    এক বর্গমিটার এলাকার উপর সরাসরি সূর্যের আলো পড়লে যে পরিমাণ শক্তি থাকে তাকে সোলার কন্সট্যান্ট বলে। এক সোলার কন্সট্যান্ট সমান  প্রতি বর্গমিটারে ১,৩৬৮ ওয়াট শক্তি। যখন সূর্যের আলো মাটিতে পড়ে তার শক্তি ক্ষয় হয়। তাই যখন সূর্য তার শীর্ষে থাকে এবং আকাশ পরিষ্কার থাকে এর অর্থ হল আমরা কম শক্তি পাচ্ছি। পৃথিবীর বায়ুমন্ডলের উপরের ভাগে সূর্যের যে আলো পড়ে তাতে ৫০% ইনফ্রারেড, ৪০% দৃশ্যমান আলো এবং ১০% অতিবেগুনী রশ্মি থাকে। আমাদের বায়ুমণ্ডল ৭০% অতিবেগুনী আলো ঢুকতে বাধা দেয়, বিশেষ করে কম তরঙ্গদৈর্ঘ্যের অতিবেগুনী আলো। সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মি দিনের বেলায় বায়ুমন্ডলের উপরের অংশের বাতাসকে আয়োনিত করে এবং তড়িৎ প্রবাহী আয়নোস্ফিয়ার তৈরি করে।

    ইন্টারন্যাশনাল কমিশন অন ইলুমিনেশন অনুসারে সূর্যের রং সাদা। সূর্যের আলোর ফোটনের পরিমাণ নির্ণয় করে দেখা যায় যে সবুজ অংশে সবচেয়ে বেশী ফোটন আছে। যখন সূর্যকে আকাশের নিচের দিকে দেখা যায় তখন বায়ুমণ্ডলের কারনে তাকে হলুদ, লাল, কমলা বা ম্যাজেন্টা দেখায়। তাই সূর্যের আসল রং সাদা হলেও আমাদের মনে হয় সূর্যের রং হলুদ। সূর্য হল জী২ভি টাইপ তারা। জী২ মানে হল এর পৃষ্ঠের তাপামাত্রা প্রায় ৫,৭৭৮ কেলভিন আর ভি'র মানে হল এটি একটি মাইন সিকুয়েন্স তারা। সূর্যের গড় উজ্জ্বলতা প্রতি বর্গমিটারে ১.৮৮ গিগা ক্যান্ডেল।কিন্তু যখন ঠিক মাথার উপরে থাকা অবস্থায় দেখা হয়, বায়ুমন্ডলের কারনে তা ১.৪৪ গিগা ক্যান্ডেলে নেমে আসে। যদিও সূর্যের সব স্থানে উজ্জ্বলতা এক নয়। এই ব্যাপারটাকে লিম্ব ডারকেনিং বলে। 

    No comments

    Post Top Ad

    Post Bottom Ad