Header Ads

  • সর্বশেষ

    METI'র বিজ্ঞানীরা প্রক্সিমা বি গ্রহে মেসেজ পাঠানোর পরিকল্পনা নিয়ছেন।

    বিজ্ঞানীরা প্রক্সিমা-বি পৃথিবীর সবচেয়ে কাছের এক্সোপ্ল্যানেট এ মেসেজ পাঠানোর পরিকল্পনা  নিয়েছেন। যে দলটি কাজ করছে তারা একটি ডিপ-স্পেস ট্রান্সমিটার বানানো বা কেনার পরিকল্পনা করেছিল। আর এখন তারা সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন যে কি মেসেজ পাঠানো হবে। কারণ যোগাযোগের শুরুটা ভালো হওয়া দরকার। ডগলাস ভ্যাকখ, সানফ্রানসিসকো ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান "মেসেজিং এক্সট্রাটেরিস্ট্রিয়াল ইন্টেলিজেন্স" সংক্ষেপে "METI"র প্রেসিডেন্ট বলেন "যদি কোন বুদ্ধিমান প্রানী থেকে থাকে, আমরা তাদের সাথে যোগাযোগ করতে চাই এবং তাদের সাথে তথ্যের আদান প্রদান শুরু করতে চাই।" "METI"র পরিকল্পনা নাসা'র আগের একটি মিশন "প্রজেক্ট সাইক্লপ্স"র মত। এটি ১৯৭০'র দশকে ফান্ডিং এর অভাবে বন্ধ হয়ে যায়।"প্রজেক্ট সাইক্লপ্স"র উদ্দেশ্য ছিল একটি রেডিও টেলিস্কোপের নেটওয়ার্ক তৈরি করা যার মধ্যমে প্রায় ১০০০ আলোকবর্ষ ব্যাসার্ধের এলাকা থেকে সমস্ত রেডিও সিগন্যাল ধরা যায়।  

    METI একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। তারা অনেকগুলি কর্মশালা গ্রহণ করবে এবং জনগনের কাছে থেকে টাকা সংগ্রহ করবে যাতে প্রক্সিমা বি'তে মেসেজ পাঠানোর পরিকল্পনা সফল হয়। তাদের ধারণা এক বছর ট্রান্সমিটারটি চালাতে এক মিলিয়ন ডলারের প্রয়োজন। ২০১৮ সালের মধ্যেই দলটি প্রক্সিমা বি গ্রহে লেজার বা রেডিও সিগন্যাল পাঠানোর কাজটি শুরু করতে চায়। প্রক্সিমা বি গ্রহটি সৌরজগতের সবচেয়ে কাছের তারা প্রক্সিমা সেন্টুরাইকে প্রদক্ষিণ করছে যা পৃথিবী থেকে প্রায় ৪.২৫ আলোকবর্ষ দূরে।  
    METI'র অন্য একটি কাজ হবে আমরা সেখানে কি মেসেজ পাঠাবো, সেই সাথে সেখানে যদি কোন ধরণের জীবন থেকে থাকে তবে তারা পৃথিবীর মত একই গাণিতিক নিয়ম অনুসারে বেড়ে উঠেছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখা। তারা "ড্রেক সমীকরণ"ও পরিমার্জন করতে চায়।১৯৬১ সালে জ্যোতিপদার্থবিদ ফ্র্যাঙ্ক ড্রেক তার বিখ্যাত ড্রেক সমীকরণ প্রকাশ করেন।তার মতে এই সমীকরণ দিয়ে মহাকাশে কতগুলো সভ্যতা গড়ে উঠতে পারে সেটা হিসাব করা যায়, এবং সেটা নির্ভর করে বিভিন্ন ধরণের ফ্যাক্টরের উপর।
    কিন্তু অনেকেই METI'র মেসেজ পাঠানোর ব্যাপারটা সহজভাবে নেয়নি। পদার্থবিদ মার্ক বুকানন নেচার ফিজিক্স জার্নালে তার একটি প্রকাশনায় উল্লেখ করেছেন যে এটি হবে পৃথিবীর জন্য বিপদ ডেকে আনা। মার্কের সাথে স্টিফেন হকিং একমত হয়েছেন। হকিং এর মতে বাইরে সভ্যতার কারও সাথে চ্যাটিং করা খুবই বিপদজনক হতে পারে।কারন তারা হয়ত মানুষের চেয়ে অনেক উন্নত প্রযুক্তি আবিষ্কার করেছে। এতো ভিন্নমত থাকার পরেও METI'র বিজ্ঞানীরা মেসেজ পাঠানোর সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসবেনা বলে ঘোষণা দিয়েছে। ভ্যাকখ বলেন "কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমাদেরই প্রথম পদক্ষেপ নেয়া দরকার। বিজ্ঞানীদের কাজ হল থিয়োরীর স্বপক্ষে তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করা। আমরা সেটাই করার চেষ্টা করছি এবং আসা করছি হয়ত কোন প্রত্যুত্তর পাব।"
    মহাকাশে মেসেজ পাঠানো এটাই প্রথম উদ্যোগ নয়। কিন্তু METI নিয়মিত যোগাযোগ করার একটা পথ আবিষ্কার করতে চাচ্ছে। METI'র পক্ষে সবচেয়ে ভালো কথাটি বলেছেন ক্যালিফোর্নিয়ার ফুটহিল কলেজের জ্যোতির্বিদ এন্ড্রু ফ্রাঙ্কনি। তার মতে " যদি মেসেজ না পাঠিয়ে মেসেজ পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করা হয় তবে আমাদের গ্যালাক্সিতে তার সম্ভবনা প্রায় শুন্যের কোঠায়। কারণ মিল্কিওয়ের একপাশ থেকে অন্যপাশ প্রায় ১,২০,০০০ আলোকবর্ষ।"

    1 comment:

    1. অন্য গ্রহে যদি প্রানি থেকে থাকে আর তারা যদি আমাদের থেকে আরও উন্নত প্রযুক্তি তৈরি করে থাকে, তবে হয়তো তারাই এতদিনে আমাদের খুঁজে বের করতো। আপতত আমাদেরি উচিত অন্য গ্রহের কারো সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা। স্টিভেন হকিং এর সাথে আমি একমত হতে পারলাম না।

      ReplyDelete

    Post Top Ad

    Post Bottom Ad