Header Ads

  • সর্বশেষ

    আমরা যেভাবে একটি বিস্ফোরিত তারার ধ্বংসযজ্ঞ থেকে রক্ষা পেতে পারি এবং হয়ত এলিয়েন সভ্যতা থেকে সাহায্য নিতে পারি।

    তারা ধ্বংস হয় ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণের মাধ্যমে। যখন ধ্বংস হয় তখন তৈরি হওয়া কসমিক রে'র জন্য কাছাকাছি গ্রহগুলিরও ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের সম্ভবনা থাকে। যদি প্রাণ থাকে তবে সেটার কোন অস্তিত্বই থাকার সম্ভবনা নেই ধংসের পর। "এ ধরণের ঘটনা থেকে নিজেদের রক্ষা করার জন্য মানব জাতির বর্তমানে কোন ধরণের পদ্ধতিই জানা নেই।" বলেন এস্ট্রোনমিক্যাল অব্জারভেটরি অব বেল্গ্রেডের মিলান চিরকোভিচ এবং ব্রানিস্লাভ ভুকোটিচ।  

    কিন্তু উনারা তত্ত্ব দিয়েছেন মাত্র কয়েক দশক থেকে একশ বছরের মাঝেই মানুষ সুপারনোভা বা গামা রে বিস্ফোরণ এই ধরণের বিপদ মোকাবেলার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নিতে সক্ষম হবে। যদিও বিস্ফোরণের ভবিষ্যদ্বাণী করা এবং তারাগুলির অবস্থান সঠিকভাবে জানতে পারাটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। হয়ত আমরা একা নই এই মহাকাশে। যে সব এলিয়েন সভ্যতা আমদের চেয়ে অনেক উন্নতি করেছে তারা হয়ত এই সব মহাজাগতিক ভয়াবহতা থেকে বাচার জন্য কোন না কোন সফল ব্যবস্থা বের করে ফেলেছে এবং তার প্রয়োগ করছে। পরিসংখ্যান গত দিক দিয়ে অন্য গ্রহে প্রানী থাকতে পারে এটা স্বাভাবিক, যদিও এখন পর্যন্ত আমরা একটিও প্রমাণ সংগ্রহ করতে পারিনি। এখন আমরা এমন কোন এলিয়েন সভ্যতার সাথে যোগাযোগের জন্য জোর তৎপরতা চালাতে পারি যারা আমাদের সাথে প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে খুব কাছাকাছি। 
    সিরকোভিচ ও ভুকোটিচের মতে "এতে অবাক হবার কিছু নেই যে আমরা কিভাবে কসমিক বিস্ফোরণ কি করে মোকাবেলা করব তা নিয়ে চিন্তার জন্য খুবই কম সময় ব্যয় করেছি। কিন্তু ইদানিং বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন ধরণের নিশ্চিত দুর্যোগ যেমন সুপারভলক্যানিক উদ্গীরন বা পৃথিবীতে গ্রহানুর পতন এসবের জন্য ক্ষয়ক্ষতির পরিমাপ করছেন। এটা সত্য যে এসব দুর্যোগের সম্ভবনা বেশ কম। হয়ত দশ থেকে কয়েক মিলিয়ন বছরে একবার ঘটে। কিন্তু ঘটে।"কিন্তু এখন আমরা জানি একটি স্পাইরাল গ্যালাক্সি যেমন মিল্কিওয়ের কোন অংশই এসব দুর্যোগ থেকে নিরাপদ নয়।

    একটি বুদ্ধিমান প্রজাতি যত বেশীদিন টিকে থাকে মাইগ্রেশন একটা বড় ভুমিকা রাখে। মানব জাতিকে যদি বেশীদিন টিকে থাকতে হয় তবে তাদেরকে মাইগ্রেশনের দিকে চোখ দিতে হবে।পৃথিবীতে যদি মানুষের চেয়ে উন্নত কোন সভ্যতা থাকত তবে তারা অবশ্যই অন্যান্য রিসোর্স যেমন পৃথিবীর চাঁদ, মঙ্গল, গ্রহাণু বা ধুমকেতু এসবও অনেক ভালোভাবে ব্যবহার করতে জানত। হয়ত সেসব ব্যবহার করে এই সব দুর্যোগের জন্য প্রতিরক্ষা তৈরির পদক্ষেপ নিতে পারত।" তারা এ ধরণের সভ্যতার নাম দিয়েছেন "হিউম্যানিটি প্লাস।" এটা অনেকটা কারদাশেভ টাইপ ১ সভ্যতার মত, যারা একটি গ্রহের সব রিসোর্স শক্তি উৎপাদনের জন্য ব্যবহার করতে পারে। অনেকের মতে মানুষ এ ধরণের সভ্যতার সক্ষমতার ৭০% অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। "হিউম্যানিটি প্লাস।"ও এসব দুর্যোগ মোকাবেলা করতে সক্ষম হবেনা। এটা করতে হলে একটি তারার সম্পূর্ণ শক্তি ব্যবহার করার সক্ষমতা অর্জন করতে হবে। এ ধরণের সভ্যতার কথা আমরা বর্তমান প্রযুক্তি দিয়ে চিন্তাও করতে পারবনা। এগুলো করতে পারে কারদাশেভ টাইপ ২ ধরণের সভ্যতা। এসব দুর্যোগ থেকে মানব জাতিকে বাঁচতে হলে মাটির প্রায় তিন কিলোমিটার গভীরে অবস্থান করতে হবে। কারণ দুর্যোগের ফলে রেডিয়েশনের কারনে পৃথিবীর পৃষ্ঠ প্রায় বসবাসে অযোগ্য হয়ে পড়বে। গামা রে বারস্ট বায়ুমন্ডল খুলে নিতে পারে। 
    আরেকটা জিনিস আমাদের বাঁচাতে পারে সেটা হল বিশাল পানির বরফের দেয়াল। সৌরজগতে প্রচুর পরিমাণ পানির বরফ আছে। কাইপার বেল্ট পানির বরফে পরিপূর্ণ। আমরা হয়ত এত বড় ইঞ্জিনিয়ারিং প্রজেক্ট হাতে নিতে পারবনা, কিন্তু "হিউম্যানিটি প্লাস" হয়ত পারবে। প্রচুর পরিমাণ পানির বরফ দিয়ে "শিল্ডিং সোয়ারম" তৈরি করা যেতে পারে যেটা হয়ত আমাদের কসমিক ব্লাস্ট থেকে রক্ষা করবে। আমরা হয়ত এটা খুঁজে দেখতে পারি যে কিভাবে তৈরি করা যায়। বিষয়টা এমন যে সেই "শিল্ডিং সোয়ারম" ঐ নক্ষত্রের গ্র্যাভিটিতে প্রভাবিত হবেনা। সম্ভব কি এমন কিছু তৈরি করা? 

    No comments

    Post Top Ad

    Post Bottom Ad