Header Ads

  • সর্বশেষ

    শুক্রের বায়ুমন্ডলে অদ্ভুত দাগ।

    শুক্রের বায়ুমণ্ডলে একটি বিশাল স্থায়ী দাগ দেখা যাচ্ছে। জাপানী ভূপদার্থবিদদের ধারণা সেখানকার পর্বতমালার উপর দিয়ে কোন গ্র্যাভিটি ওয়েভ তৈরি হয়েছে।

    "আমি এর আকার দেখে অবাক হয়েছি,  আরও অবাক লেগেছে এর স্থায়িত্ব দেখে। এটি প্রায় একই জায়গায় আছে। অতীতে এ ধরণের কিছু দেখা যায়নি।" বলেন রিক্কিয়ো ইউনিভার্সিটি, টোকিও'র মাকোটো তাজায়নি।জায়গাটি দেখতে হয়েছে অনেকটা ধনুকের আকৃতির। সম্পূর্ণ জায়গাটির এপার ওপার প্রায় ১০,০০০ কিমি হবে। JAXA'র আকাতসুকি স্পেসক্র্যাফট থেকে ২০১৫ সাল থেকে এটিকে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

    তাগুচি একজন ভূপদার্থবিদ। তিনি শুক্রের ভূপ্রকৃতির সাথে ব্যাপারটা মিলিয়ে দেখেছেন। শুক্রের বায়ুমন্ডলের উপরের দিকের অংশে সালফিউরিক এসিডের মেঘ থাকে। এই মেঘের গতি প্রায় প্রতি সেকেন্ডে ১০০ মিটার। মেঘ এতটাই ঘন যে বাস্তবে এর নীচে কি হচ্ছে তা দেখা প্রায় অসম্ভব। যদিও ৯০'র দশকে পরিচালিত পায়োনিয়ার ভেনাস অরবিটারে পাওয়া শুক্রের ভূপৃষ্ঠের তথ্য তাদের হাতে আছে। একই ধরণের ব্যাপার এর আগেও ধরা পড়েছিল, তবে তা শুক্রে নয়, পৃথিবীতে। তাগুচি বলেন "একই ধরণের জিনিস পৃথিবীর বায়ুমন্ডলেও দেখা যায় অনেক উঁচু পর্বতের উপরে। এটাকে বলা হয় "মাউন্টেইন ওয়েভ।" সবচেয়ে বড়টির দৈর্ঘ্য ছিল প্রায় ১০০০ কিমি, কিন্তু আকৃতি ধনুকের মত ছিলনা। পৃথিবী ছাড়া অন্য কোথাও এটি দেখা গেছে এমন উদাহরণ আমার কাছে নেই।" 

    তাগুচি ও তার সহকর্মীরা এটির তাপমাত্রা আশেপাশের বায়ুমন্ডলের তাপমাত্রার চেয়ে চেয়ে বেশী বলে মনে করছেন। "জিনিসটা যখন ধনুকের আকৃতিতে থাকে তখন কোন স্থায়ী গ্র্যাভিটি ওয়েভ আছে কিনা এটা এখন পরীক্ষা করতে হবে। এজন্য আমাদের আরও অনেক ডেটা সংগ্রহ করতে হবে।" তাগুচি ব্যাখ্যা দেন। তার দল হয়ত আরও অতিবেগুনী ইমেজ দেখতে চাইতে পারে, এতে বোঝা যাবে ঐসব স্থানে বাতাসের গতি কমছে কিনা। 

    তাগুচি আরও বলেন "আকাতসুকি'র IR1এবং IE2 এর ছবি আর রেডিও অক্লুশনের মাধ্যমে পাওয়া শক্রের তাপমাত্রার তথ্য দিয়ে ঐ জায়গার নীচে কি হচ্ছে তা বের করতে চাচ্ছি। একই সাথে তত্ত্বের গ্রহণযোগ্যতা প্রমানের জন্য কম্পিউটার সিমুলেশন বেশ গুরুত্বপূর্ণ।" 

    No comments

    Post Top Ad

    Post Bottom Ad