Header Ads

  • সর্বশেষ

    এই মুহূর্তেই পৃথিবীর কিছু প্রানী মঙ্গলে বাস করতে পারবে।

    বিজ্ঞানীরা অনেক আগে থেকেই সন্দেহ করেন যে সুদূর অতীতে মঙ্গলেও প্রাণ ছিল। যদি বর্তমানের চেয়ে ঘন বায়ুমন্ডল ও তরল পানি থাকত তবে অবশ্যই সেখানে সাধারণ প্রানীকুলের আবির্ভাব সম্ভবনা ছিল। যারা মঙ্গলকে ভবিষ্যতে মানুষের বাসস্থান বানাতে চান তাদের মতে মঙ্গলে আবারও প্রাণ ধারণের উপযুক্ত করে গড়ে তোলা সম্ভব। কিন্তু সম্প্রতি ইউনিভার্সিটি অব আরকান স'র আরকান স সেন্টার ফর স্পেস এন্ড প্ল্যানেটারী সাইন্সেস(ACSPS) একটি গবেষণায় ফলাফলে বলা হয় পৃথিবীর কিছু প্রাথমিক গঠনের প্রানী এখনও মঙ্গলে বেঁচে থাকতে পারবে। চারটি মেথানোজেনিক মাইক্রো অরগানিজম পাওয়া গেছে যেগুলি মঙ্গলের কম বায়ুচাপের পরিবেশে বেঁচে থাকতে পারে। 
    মঙ্গলে সাগর থাকলে যেমন দেখাত।(শিল্পীর কল্পনায়) 
    মেথানোজেন হল আরকায়ী শ্রেনীর জীবের একটি শাখা। এসব অরগানিজমের অক্সিজেনের প্রয়োজন হয়না। তারা আমরা যেসব পরিবেশকে রুক্ষ বলি সেখানে বাঁচতে পারে। পৃথিবীতে মেথানোজেন পাওয়া যায় জলাভুমিতে, মহাসাগরে এমনকি প্রানীর শরীরের হজমের জায়গাতেও এদের পাওয়া যায়। এসব জায়গায় এগুলি হাইড্রোজেন ও কার্বনডাই অক্সাইড দিয়ে মিথেন গ্যাস তৈরি করে। নাসার অনেকগুলি মিশনে বলা হয়েছে মঙ্গলের বাতাসে কিছু পরিমাণ মিথেনও আছে। কিন্তু এখনও এই মিথেনের উৎস আবিষ্কার হয়নি। তাই ধরা হয় যে মঙ্গলের মাটির নিচে লুকিয়ে থাকা মেথানোজেন এই মিথেনের উৎস। গবেশকদের নেত্রী রেবেকা মাইকল বলেন "মঙ্গলের বাতাসে মিথেন পাওয়া আমাদের জন্য একটি অত্যন্ত উত্তেজনার ব্যাপার। পৃথিবীতে বর্তমান ও অতীতের অরগানিসজমগুলি মিথেনের অন্যতম কারন। একই জিনিস হয়ত মঙ্গলের জন্যও সত্য। অবশ্যই মঙ্গলের বাতাস মিথেন আসার আরও অসংখ্য কারন থাকতে পারে।" 


    মঙ্গলের আবহাওয়া বুঝতে বিজ্ঞানীরা প্রায় ২০ বছর ধরে চারটি মেথানোজেন নিয়ে গবেষণা করছেন। এগুলো হল Methanothermobacter wolfeii, Methanosarcina barkeri, Methanobacterium formicicum, Methanococcus maripaludis। গবেষণায় এটা প্রমাণিত হয় যে এসথানোজেন  কম অক্সিজেনে বেচে থাকতে পারে। নাসার এক্সোবায়োলজী ও এভোলিউশনারী বায়োলজি প্রোগ্রাম মাইকল ও তার দলকে মেথানোজেনের একটি নতুন পরীক্ষা করতে সাহায্য করছে। এই পরীক্ষায় অনেকগুলি টেস্টটিউবে ধুলা দিয়ে মঙ্গলের পৃষ্ঠের মত অবস্থা সৃষ্টি করা হবে। তারপর তাতে মেথানোজেন দিয়ে হাইড্রোজেন দেয়া হবে, কিন্তু কোন অক্সিজেন নয়। এরপর এগুলোকে মঙ্গলের বায়ুচাপের সমান চাপে রাখা হবে। এতে দেখা যায়, মেথানোজেন ৬ থকে ১৪৩ মিলিবার চাপে ৩ থেকে ২১দিন বেঁচে থাকতে পারে।
    যেভাবে মঙ্গলের বায়ুমন্ডলে মিথেন আসতে পারে।
    এতে প্রমাণিত হল যে কিছু প্রজাতির প্রানী আছে যারা কম চাপে বেঁচে থাকতে পারে। আরও প্রমাণিত হল যে এই চারটি মেথানোজেনের প্রজাতি হয়ত মঙ্গলের পরিবেশে টিকে থাকতে পারবে। মাইকলের মতে পরবর্তী পরীক্ষা হবে এরা কত তাপমাত্রায় স্বাভাবিক থাকতে পারে। কারন রাতের বেলায় মঙ্গলের তাপমাত্রা মাঝে মাঝে -১০০ ডিগ্রী সেলসিয়াসের নীচে আসে। গ্রীষ্মকালে দুপুর বেলায় কালেভদ্রে তাপমাত্রা শূন্য ডিগ্রী সেলসিয়াসের উপরে আসে। আমরা এখন শুন্যের একটু উপরের তাপমাত্রায় পরীক্ষা চালাবো। কিন্তু তাপমাত্রা আরও কমলে বাষ্প তৈরি হবার হার কমে যায়। এটার ফলে পরিবেশ আরও মঙ্গলের মত লাগে। 
    অদূর ভবিষ্যতে প্রযুক্তির উন্নয়নের সাথে সাথে মঙ্গলে আরও মিশন চালানো হবে। যেমন ইন্টেরিওর এক্সপ্লোরেশন ইউজিং সাইজমিক ইনভেস্টিগেশন, জিওডেসী এন্ড হীট ট্রান্সপোর্ট ল্যান্ডার পাঠানো হবে আগামী বছরের মে মাসে। এটি মঙ্গলের মাটির আরও গভীরে অনুসন্ধান চালাতে পারবে। 

    No comments

    Post Top Ad

    Post Bottom Ad