Header Ads

  • সর্বশেষ

    সৌরজগতের সবচেয়ে অদ্ভুত চাঁদ।

    ১৬৭১ সালে জিওভান্নি ক্যাসিনি টেলিস্কোপ দিয়ে শনির দিকে তাকালেন। এই পর্যবেক্ষণে তিনি কিছু অবিশ্বাস্য জিনিস আবিষ্কার করলেন। শনির বলয়গুলির মাঝের ফাঁকা জায়গা এবং কয়েকটি চাঁদ। তিনি তখন পর্যন্ত আবিষ্কার হওয়া শনির দ্বিতীয় চাঁদ আবিষ্কার করলেন। চাঁদটির নাম ইয়াপিটাস। চাদটি তার কক্ষপথে থাকার শুধুমাত্র অর্ধেক সময় দেখা যায়। তিন দশক পর যখন অপেক্ষাকৃত উন্নত টেলিস্কোপ আবিষ্কার হল ক্যাসিনি চাঁদটির পূর্ব ও পশ্চিম দুই দিকটাই দেখতে পেলেন। সালটি ছিল ১৭০৫। কিন্তু সমস্যা একটা থেকেই গেল, চাঁদটির পশ্চিম পাশটি পূর্ব পাশের চেয়ে অনেক আবছা।  


    ক্যাসিনি চাঁদটির ব্যাপারে একটি তত্ত্ব দাঁড় করালেন। প্রথমত ইয়াপিটাস অবশ্যই দুই রঙয়ের। একটি দিকের রং আরেক দিকের চেয়ে হালকা। দ্বিতীয়ত চাঁদটি অবশ্যই শনির সাথে টাইডালি লকড। অর্থাৎ শনি থেকে সবসময় এর একটা দিকই দেখা যাবে, পৃথিবীর চাঁদের মত। এটা ছিল একটি অসাধারণ তত্ত্ব কিন্তু এর সত্যতা প্রমাণ করার কোন পদ্ধতি তখন জানা ছিলনা। রং ছাড়াও আরও একটি কারণে ইয়াপিটাস অনন্য ছিল। যদি শনির গুরুত্বপূর্ণ চাঁদগুলির কক্ষপথ দেখা যায় দেখা যাবে যে সেগুলি শনিকে একই তলে প্রদক্ষিণ করছে। সবাই করছে শুধু ইয়াপিটাস বাদে, এর কক্ষপথ খুবই হেলানো। কি কারণে তা এখনও জানা যায়নি। সৌরজগতের কোন চাঁদই তার গ্রহের সাথে এতটা হেলানো নেই। 


    ইয়াপিটাসের নিরক্ষরেখা বরাবর একটি বিশাল পর্বতমালা আছে যার উচ্চতা চাঁদটির ভূপৃষ্ঠ থেকে গড়ে দশ কিলোমিটার। ইয়াপিটাসের ঘূর্ণন গতি বেশ কম আর এর ভূপৃষ্ঠও কয়েক বিলিয়ন বছরের পুরোনো। তাই এই পর্বতমালা অবশ্যই খুব সাম্প্রতিক সময়ে তৈরি হওয়া নয়। এ ব্যপারে অসংখ্য তত্ত্ব আছে কিন্তু কোনটিই প্রমাণিত হতে পারেনি। এরকম আরও অনেক দিক দিয়েই ইয়াপিটাস সৌরজগতের মাঝে অনন্য। এসব রহস্যের বেশিরভাগেরই উত্তর এখনও পাওয়া যায়নি।


    এদের মাঝে একটি রহস্যের কিছুটা নাগাল পাওয়া যায় ক্যাসিনির পর্যবেক্ষণের প্রায় ৩০০ বছর পরে। এজন্য নাসার একটি মিশন ধন্যবাদ পেতে পারে। নাসা আসলে ইয়াপিটাসের ছবি তুলতে স্পেসক্র্যাফট পাঠিয়েছিল। এতে দেখা যায় ইয়াপিটাস আসলেই দুই রঙের। এর এক গোলার্ধ আরেক গোলার্ধের চেয়ে কমপক্ষে ২০ গুণ কম আলোর প্রতিফলন করে।


    এটা আরও একটি বড় রহস্যের সৃষ্টি করল।কেন ইয়াপিটাস এমন?

    2 comments:

    1. ধন্যবাদ তৈকির বিশ্লেষন ভিত্তিক লেখা।

      ReplyDelete

    Post Top Ad

    Post Bottom Ad