Header Ads

  • সর্বশেষ

    কিভাবে এস্ট্রোনমি আমাদের পৃথিবীর বাইরে প্রাণ খুঁজে পাবার সম্ভাব্যতা বুঝতে সাহায্য করে?

    মহাকাশে প্রাণ খুঁজে পাবার ব্যাপআরে বিজ্ঞানের প্রায় সকল শাখারই কিছু না কিছু অবদান আছে। এমনকি গণিত বা কম্পিউটার সায়েন্সের মত বিষয় যেগুলোর সাথে এস্ট্রোনমির মিল খুবই সামান্য, এসব বিষয়েরও যথেষ্ট সংযোগ রয়েছে মহাকাশে প্রাণ খোঁজার গবেষণায়। যেমন আমরা বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় গণিত ব্যবহার করে নানা ধরণের হিসাব করে থাকি। কম্পিউটার সায়েন্সের সাহায্য কোন ধরণের প্রস্তাবনার সিমুলেশন করি। তবে মহাকাশে প্রাণ খুঁজে পাবার গবেষণায় বিজ্ঞানের তিনটি শাখার ভূমিকা সবচেয়ে বেশী। ১) এস্ট্রোনমি ২) প্ল্যানেটারী সায়েন্সেস, যেখানে ভুতত্ব ও পরিবেশ বিজ্ঞান অন্তর্ভুক্ত। এবং ৩) বায়োলজি।

    আমরা যদি মানবজাতির ইতিহাস লক্ষ্য করি তবে দেখব প্রাচীনকালে মহাকাশ সম্পর্কে যে ধারণা ছিল এখন তা খুবই আলাদা। পৃথিবীকে মহাকাশের কেন্দ্র ধরা হত। গ্রহগুলিকে আলোকবিন্দু হিসেবে ধরা হত। বিভিন্ন দেবতাদের নামে গ্রহগুলিকে ডাকা হত। সে সময় মানুষের কোনও ধারনাই ছিলনা যে এইসব আলোকবিন্দুগুলিতেও প্রাণ থাকার সম্ভবনা আছে। তারাগুলিকেও সাধারণ আলোকবিন্দু হিসেবেই ধরা হত। গ্রহগুলির সাথে তারাদের পার্থক্য ছিলও যে গ্রহগুলি তাদের জায়গার পরিবর্তন করে কিন্তু তারাগুলি তাদের কন্সটিলেশনে স্থায়ী থাকে। খুবই কম মানুষের মাঝেই এই ধারণা ছিল যে সূর্য আসলে ঐসব তারাদের মতই খুব সাধারণ একটি তারা। আরও ধরা হত সূর্য ও অন্যান্য গ্রহগুলি পৃথিবীকেই প্রদক্ষিণ করছে। তারাগুলিরও যে নিজস্ব গ্রহ থাকতে পারে সে সম্পর্কে কারও কোন ধারনাই ছিলনা। পৃথিবীকে মহাকাশের কেন্দ্র ধরার মতবাদকে বলা হয় জিওসেন্ট্রিক ইউনিভার্স। এই ধারণা কয়েক হাজার ধরে প্রচলিত ছিল। এই সময় মানুষও কোনও ভাবে ভাবতেই পারেনি যে আমাদের পৃথিবী আসলে মহাকাশের তুলনায় একটি বালুকণারও সমতুল্য না, কেন্দ্র হবার প্রশ্নই ওঠেনা। আর সূর্য, খুবই নগণ্য ধরণের একটি সাধারণ একটি নক্ষত্র মাত্র। যখনই মানুষ জিওসেন্ট্রিক ইউনিভার্স মতবাদ থেকে মুক্তি পেল সাথে সাথে পৃথিবীর বাইরেও যে প্রাণ থাকতে পারে এই ধারনাটিও মানুষের মাথায় ঢোকার সুযোগ পেল।



    এস্ট্রোনমি বিষয়টা মহাকাশে প্রাণ খুঁজে পেতে অসংখ্য উপায়ে পথ দেখাচ্ছে। কিন্তু একটি ব্যাপার না উল্লেখ করলেই নয়। এস্ট্রোনমিতে মূলত মহাকাশে থাকা দূরবর্তী বিভিন্ন মহাজাগতিক বস্তু নিয়ে আলচনা করা হয়। এসব দূরবর্তী জিনিসপত্র নিয়ে গবেষণার ফলে আমরা মহাকাশে বিদ্যমান পদার্থ বিজ্ঞানের বিভিন্ন আইন সম্পর্কে জেনেছি যেগুলি দিয়ে ঐসব মহাজাগতিক বস্তু পরিচালিত হচ্ছে। ঠিক একই আইন দিয়ে কিন্তু পৃথিবীও পরিচালিত হচ্ছে। এতে আমরা বলতেই পারি যেসব প্রাকৃতিক ঘটনা পৃথিবীতে ঘটছে, ঠিক একই ধরণের প্রাকৃতিক ঘটনা মহাকাশের অন্য জায়গাতেও ঘটছে। তাই পৃথিবীকে মহাকাশের কেন্দ্র ভাবার বিন্দুমাত্র সুযোগও নেই আমাদের হাতে।    

    No comments

    Post Top Ad

    Post Bottom Ad