Header Ads

  • সর্বশেষ

    চার ধরণের এক্সোপ্ল্যানেট।

    ওশেন প্ল্যানেট।

    এই ধরণের গ্রহে কোনও শক্ত পৃষ্ঠ নেই, পুরোটাই তরল পানি। যদিও পৃথিবীর পৃষ্ঠের ৭১% হল পানি, কিন্তু তা মাত্র পৃথিবীর ভরের মাত্র ০.০২%। একটি ওশেন প্ল্যানেট হতে হলে ঐ প্ল্যানেটের ভরের অন্তত ১০% পানি থাকতে হবে। এই ধরণের গ্রহ গুলিতে পানির পরিমাণ ব্যাপক হবার কারণে প্রাণ থাকার ব্যাপক সম্ভবনা আছে। পৃথিবীর মহাসাগরের গভীরতা সর্বচ্চো সাত মাইল। এই সব ওশেন প্ল্যানেটে এই গভীরতা শত বা হাজার মাইলও হতে পারে। পৃথিবীর মহাসাগর গুলিতে নানা ধরণের জলজ প্রানী দেখা যায়। যদি এইসব গ্রহে প্রাণ থাকে, তবে কত প্রজাতির জলজ প্রানী সেখানে থাকতে পারে?

    হট জুপিটার।

    এই ধরণের গ্রহ গুলি আকারে আমাদের সৌরজগতের বৃহস্পতি গ্রহের সমান বা তার চেয়ে বড় হয়। এদের কক্ষপথ হয় তার নক্ষত্রের খুব কাছাকাছি হয়। কয়েক মিলিয়ন মাইল, যা মহাকাশে খুবই নগন্য দূরত্ব। বিজ্ঞানীদের মতে বৃহস্পতির মত গ্যাস জায়ান্ট গ্রহগুলি নক্ষত্র থেকে বেশ দূরে সৃষ্টি হয় যেখানে তাপমাত্রা অনেক কম থাকে।। পরে ধীরে ধীরে নক্ষত্রের কাছাকাছি চলে আসে। সবশেষে তারা নক্ষত্রে বিলীন হয়ে যায়। হট জুপিটার গ্রহগুলি তার নক্ষত্রের খুব কাছাকাছি থাকায় গ্রহের পৃষ্ঠ তাপমাত্রা অনেক বেশী হয়। এই তাপামাত্রায় প্রাণের সম্ভবনা প্রায় শূন্যের কোঠায়। এই ধরণের এক্সোপ্ল্যানেট অন্যান্য সৌরজগতে অনেক খুঁজে পাওয়া গেছে। প্রথম যে এক্সোপ্ল্যানেট আবিষ্কার হয়েছিল তার ধরণ হল হট জুপিটার, নাম বেলেরোফোন, আবিষ্কার হয়েছিল ১৯৯৫ সালে।

    কার্বন প্ল্যানেট।

    কার্বন প্ল্যানেট এক ধরণের তত্বীয় গ্রহ যেখানে অক্সিজেনের চেয়ে কার্বনের পরিমাণ বেশী থাকে। বর্ণালীমিতি বিশ্লেষণে দেখা যায় যে আমাদের গ্যালাক্সীর কেন্দ্রের দিকে কার্বনের পরিমাণ বেশী। তাই কার্বন প্ল্যানেটের অস্তিত্ব অস্বীকার যায় না। এই ধরণের গ্রহগুলির যদি কোন বায়ুমন্ডল থেকে থাকে তবে তা হবে বিভিন্ন ধরণের বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থে পরিপূর্ণ। সেখানে বিভিন্ন ধরণের হাইড্রোকারবন যৌগ যেমন টার, মিথেন বা কার্বনমনোক্সাইডের হ্রদ বা মহাসাগর থাকতে পারে। কিন্তু কার্বন প্ল্যানেট গুলি এতটাও খারাপ নাও হতে পারে। কারণ কার্বনেরই আরেক্তি রূপ হল হীরা। উচ্চচাপ ও তাপমাত্রায় এই সব গ্রহগুলিতে কার্বন হীরা রূপেও থাকতে পারে। হতে পারে সেখানে হয়ত আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে হীরার উদ্গীরন হয়। পৃথিবীর আগ্নেয়গিরিতে যদি গলিত পাথর বের না হয়ে যদি হীরা বের হয়, তবে খারাপ হতনা।

    রোগ প্ল্যানেট।

    এর মানে হল এতিম গ্রহ। এ ধরণের গ্রহগুলি কোন নক্ষত্রের চারপাশে না ঘুরে প্রদক্ষিণ করে মিল্কিওয়ের কেন্দ্রকে। শুধুমাত্র মিল্কিওয়েতেই এই ধরণের গ্রহের পরিমাণ বিলিয়নের উপরে। এই ধরণের গ্রহগুলি কিন্তু তাদের সৃষ্টির শুরু থেকেই এতিম নয়। এদের সৃষ্টি অন্যান্য গ্রহের মত স্বাভাবিক ভাবেই হয়। কিন্তু একই সৌরজগতের কোন বড় গ্রহ বা অন্য কোন নক্ষত্র ঐ সৌরজগতের যথেষ্ট কাছাকাছি আসলে গ্র্যাভিটির কারণে কিছু কিছু গ্রহ ছিটকে বেরিয়ে যেতে পারে বা যায়। যেহেতু এইসব গ্রহগুলি কোন নির্দিষ্ট নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করে না, তাই এদেরকে খুঁজে পাওয়া খুবই কঠিন। বিজ্ঞানীদের ধারণা মিল্কিওয়েতে যত নক্ষত্র আছে তার চেয়ে কমপক্ষে প্রায় ১০০,০০০ গুণ বেশী রোগ প্ল্যানেট আছে। পৃথিবীতে কিছু কিছু জীব আছে যাদের বেঁচে থাকার জন্য সূর্যের আলোর প্রয়োজন হয় না। এথেকে এসব গ্রহে প্রাণ থাকার একটা ক্ষীণ একটি আশা থেকেই যায়।     

    No comments

    Post Top Ad

    Post Bottom Ad