মিল্কিওয়ের কেন্দ্রে এটা কি?
জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা আমাদের
মিল্কিওয়ের কেন্দ্রে থাকা সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাকহোলের কাছে একটি সুতার মত গঠন দেখতে
পেয়েছেন। এর দৈর্ঘ্য প্রায় ২.৩ আলোকবর্ষ। তারা একটি পরিষ্কার ছবি তুলতে পেরেছেন।
এই ব্যাপারটি কিন্তু নতুন
নয়। ২০১২ সালে প্রথম এটি আবিষ্কার হয়। কিন্তু নতুন এই ছবিতে এই দীর্ঘ বক্ররেখাটি বেশ
ভীতিকর দেখাচ্ছে। বস্তুটি যে আসলে কি সে বিষয়ে এই পরিষ্কার ছবিটি সম্ভাব্যতা কমালেও
বিজ্ঞানীরা কোনও শক্ত উত্তরের ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পারেননি এখনও।
রেডিও এস্ট্রনমি অবজারভেটরি’র
কারল জি জান্সকি ভেরি লারজ এরে’র সাহায্য একটি ছোট গবেষক দল একটি অভিনব ফটোগ্রাফিক
টেকনিক ব্যবহার করে ছবিটি পরিষ্কার করেন।
ছবিটি ভালভাবে দেখুন।
কি মনে হচ্ছে? মনে হচ্ছে
না যে একটি বিশাল মুখের মত কিছু একটা। মুখের উপরের দিকের দাঁতের সাথে সুতার মত কিছু
একটা লেগে আছে। কেমব্রিজের হার্ভার্ড স্মিথসোনিয়ান সেন্টার ফর এস্ট্রোফিজিক্স এর এস্ট্রনমার
জুন-হাই ঝাও বলেন “বিজ্ঞানের মজাই হল এমন রহস্যময় ব্যাপারগুলির রহস্য উদ্ঘাটন করতে
গিয়ে পদে পদে আটকে যাওয়া। এই ক্ষেত্রে এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে কোনও সঠিক উত্তর নেয়,
কিন্তু ব্যাপারটা চমৎকার। যে পদ্ধতিতে ছবিটা পরিষ্কার করা হয়েছে তা দিয়ে সম্পূর্ণ নতুন
প্রযুক্তির রেডিও টেলিস্কোপ তৈরিতে বেশ সাহায্য করবে।“
দীর্ঘ গ্যাসের ধারা বা কণার
ধারা মহাকাশে নতুন কিছু নয়। এই ব্যাপারটির নাম দেয়া হয়েছে “ননথার্মাল রেডিও ফিলামেন্ট
বা এনআরএফ”। এই এনআরএফ মত গঠন আমাদের গ্যালাক্সীর কেন্দ্রে এর আগেও দেখা গেছে। অনেকগুলির
দৈর্ঘ্য এই ছবিরটি’র চেয়েও বেশী। কিন্তু এদের উতপত্তি কিভাবে হয় তা এখনও অজানা। প্রথমে
মনে কড়া হত মিল্কিওয়ের ম্যাগনেটিক ফিল্ডের সাথে এর কোনও যোগসূত্র আছে। কিন্তু যখন দেখা
যায় যে এরকম আরও অনেক সুতার মত গঠন তৈরি হচ্ছে এবং তাদের গতিপথ বিভিন্ন দিকে, তখন বিজ্ঞানীরা
নিশ্চিত হলেন যে এটা মিল্কিওয়ের ম্যাগনেটিক ফিল্ডের জন্য তৈরি হচ্ছেনা।
No comments