Header Ads

  • সর্বশেষ

    সূর্য। The Sun

    সূর্য হল সৌরজগতের তারা। এটি হট প্লাজমার পারফেক্ট গোলক। এর ভিতরের পরিচলন প্রক্রিয়ার কারনে এর একটি শক্তিশালী ম্যাগনেটিক ফিল্ড আছে। পৃথিবীর জীবনের জন্য এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শক্তি উৎস। এর ব্যাস পৃথিবীর ব্যাসের প্রায় ১০৯ গুন। ভর পৃথিবীর ভরের প্রায় ৩৩০,০০০ গুন। সম্পূর্ণ সৌরজগতের প্রায় ৯৯.৮৬% ভর হল সূর্যের। সূর্যের ভরের প্রায় ৭৩% হল হাইড্রোজেন। বাকীটা হিলিয়াম,প্রায় ২৫%। সেই সাথে কিছু ভারী মৌল যেমন অক্সিজেন, কার্বন, নিয়ন ও লোহাও আছে।

    সূর্য হল জী টাইপ মেইন সিকুয়েন্স স্টার। সাধারণত ইয়েলো ডোয়রফ বলে পরিচিত। সৃষ্টি হয়েছিল প্রায় ৪.৬ বিলিয়ন বছর আগে। একটি বিশাল মলিকুলার ক্লাউডের মাঝে একটি স্থানে গ্র্যাভিটির কারনে পদার্থের কেন্দ্রীভূত হবার কারনে সূর্যের সৃষ্টি। বেশীরভাগ পদার্থই কেন্দ্রে জমা হয়। বাকী পদার্থগুলি কেন্দ্রের চারিদিকে চাকতির মত আকার ধারন করে যা থেকে পরবর্তীতে বিভিন্ন গ্রহ, চাঁদ বা গ্রহানুর সৃষ্টি হয়। কেন্দ্রটি এতটাই উত্তপ্ত ও ঘনত্ব পায় যে সেখানে নিউক্লিয়ার ফিউশন শুরু হয়। ধরা হয় প্রায় সব তারাই এই পদ্ধতিতে সৃষ্টি হয়। 
    সূর্য মোটামুটি মধ্যবয়স্ক। প্রায় ৪ বিলিয়ন বছর ধরে এই নাটকীয় কোন পরিবর্তন হয়নি। আরও প্রায় পাঁচ বিলিয়ন বছর এমন শান্ত থাকবে। কেন্দ্রের হাইড্রোজেন ফিউশন বন্ধ হয়ে গেলে সূর্য নাটকীয়ভাবে পরিবর্তিত হয়ে লাল বামন তারায় পরিণত হবে। সূর্য এতটাই স্ফীত হবে যে এর বাইরের স্তর বুধ, শুক্র এমনকি পৃথিবীকেও গিলে নেবে। 
    প্রাচীনকাল থেকেই সূর্যের প্রভাব লক্ষণীয়। কোন কোন সংস্কৃতিতে সূর্যকে দেবতাও ধরা হয়। বর্তমানে যে ক্যালেন্ডার ব্যবহার হয় তা মুলত সূর্যের চারিদিকে পৃথিবীর ঘূর্ণনের ভিত্তিতেই তৈরি।.

    No comments

    Post Top Ad

    Post Bottom Ad