Header Ads

  • সর্বশেষ

    সূর্যের কেন্দ্র। Solar Core.

    সূর্যের কেন্দ্র থেকে তার ব্যাসার্ধের ২০-২৫% দূরত্ব পর্যন্ত অংশকে সূর্যের কোর বলে। এই অংশের ঘনত্ব প্রতি ঘন সেন্টিমিটারে প্রায় ১৫০ গ্রাম (পানির ঘনত্বের ১৫০ গুন)। তাপমাত্রা প্রায় ১৫.৭ মিলিয়ন কেলভিন। অন্যদিকে সূর্যের পৃষ্ঠের তাপামাত্রা মাত্র প্রায় ৫,৮০০ কেলভিন। সোহো মিশনের নতুন গবেষণায় প্রমাণ হয়েছে যে রেডিয়েটিভ জোনের চেয়ে কোরের ঘূর্ণন গতি বেশী। সূর্যের জীবনের বেশীরভাগ অংশেই এক ধরনের নিউক্লিয়ার ফিউশনের মাধ্যমে শক্তি উতপাদন করে।পদ্ধতিটির নাম প্রোটন-প্রোটন চেইন। এই পদ্ধতিতেই হাইড্রোজেন হিলিয়ামে পরিণত হয়। মাত্র ০.৮% শক্তি উৎপন্ন হয় সিএনও সাইকেলের মাধ্যমে, যদিও এই শতকরা পরিমাণ সূর্যের বয়স বাড়ার সাথে সাথে বাড়তে থাকবে। 

    সূর্যে কোরই হল একমাত্র এলাকা যেখানে গুরুত্বপূর্ণ পরিমানে থার্মাল এনার্জির উৎপন্ন হয়। এর ৯৯% এনার্জি উৎপন্ন হয় সূর্যের ব্যাসার্ধের ২৪% এর ভেতর এবং ব্যাসার্ধের ৩০% এর দিকে ফিউশন প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। সূর্যের বাকী অংশ উত্তপ্ত হয় নিচে থেকে এই তাপ স্তরে স্তরে উপরের দিকে উঠে আসার জন্য। এতসব পার করে যখন তা সূর্যের ফটোস্ফিয়ারে উঠে আসে, তখন আমরা সেটাকে আলো হিসেবে দেখি। সেই সাথে সূর্য থেকে ছড়িয়ে যাওয়া চার্জড সোলার পারটিকেলও তৈরি হয়। 
    সূর্যের কোরে প্রোটন-প্রোটন চেইন প্রক্রিয়া প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ৯.২ x ১০^৩৭ বার ঘটে। এতে প্রায় ৩.৭ x ১০^৩৮ টি প্রোটন আলফা পারটিকেলে পরিণত হয় যা আসলে হিলিয়াম পরমানু যা ভরে হিসাব করলে প্রতি সেকেন্ডে তৈরি হয় প্রায় ৬.২ x ১০^১১ কেজি হিলিয়াম পরমাণু। চারটি প্রোতন মিলে একটি আলফা পারটিকেল তৈরি হয়। এই প্রক্রিয়া প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ৩.৪৮৬ x ১০^২৬ ওয়াট শক্তি উৎপন্ন হয়।

    সূর্যের কোরের ফিউশন প্রক্রিয়ার গতি স্বনিয়ন্ত্রিত। যদি ফিউশনের গতি বেড়ে যায় তবে কোরের ব্যাসার্ধ একটুখানি বেড়ে যায়। এর ফলে কোরের ঘনত্ব কমে যায়। ঘনত্ব কমলে ফিউশনের গতি কমে যায়। যদি ফিউশনের গতি কমে যায় কোরের ব্যাসার্ধ একটুখানি কমে আসে।ফলে ঘনত্ব বেড়ে যায়। আর ঘনত্ব বাড়লে ফিউশনের গতি বাড়ে। এভাবে সব সময় ফিউশন বিক্রিয়ার গতি নিয়ন্ত্রনে থাকে। 

    No comments

    Post Top Ad

    Post Bottom Ad