Header Ads

  • সর্বশেষ

    এক্সোপ্ল্যানেট গুলির তাদের চাঁদের প্রতি খুব কমই সম্মান আছে।

    যদিও নাসা এখন পর্যন্ত ৩,৪৪০টি এক্সোপ্ল্যানেট আবিষ্কারের কথা নিশ্চিত করেছে, তবে এখন পর্যন্ত কোন এক্সোমুন'র ব্যাপারে নিশ্চিত করতে পারেনি। কিন্তু আমরা জানি যে এক্সমুন আছে এবং তারা তাদের নিজ নিজ গ্রহের চারিদিকে প্রদক্ষিণ করছে। নতুন এই গবেষণা হয়ত আমাদের সাহায্য করবে কেন আমারা তাদের সনাক্ত করতে পারছিনা। 

    চীনের নানজিং বিশ্ববিদ্যালয়ের এক দল গবেষক এটা নিয়ে গবেষণা করছে। তারা আবিষ্কৃত এক্সোপ্ল্যানেট, তাদের নক্ষত্র ও ঐ সব গ্রহের তাত্ত্বিক এক্সোমুন নিয়ে একটি সিমুলেশন চালিয়েছে। এসব এক্সোপ্ল্যানেট পৃথিবী সূর্যকে যে দূরত্ব দিয়ে প্রদক্ষিণ করে তার চেয়ে কাছে দিয়ে প্রদক্ষিণ করে। সিমুলেশনে এক একটি এক্সোপ্ল্যানেটকে ৫০০টি করে এক্সোমুন দেয়া হয়। গ্রহগুলি তার নক্ষত্রের খুব কাছে থাকায় প্রতিনিয়ত তার নক্ষত্র থেকে আসা ফোটন দিয়ে আঘাত প্রাপ্ত হয়। সেই সাথে গ্রহটি তার বায়ুমন্ডলের কিছুটা ভরও হারায়। ভর হারানোর কারণে গ্রহটির গ্র্যাভিটি কমতে থাকে। গ্র্যাভিটি কমতে শুরু করলে গ্রহটির চাঁদ গুলির কক্ষপথ ধীরে ধীরে উপবৃত্তাকার হতে থাকে। একসময় চাঁদ গুলি গ্রহটির গ্র্যাভিটির আওতার সম্পূর্ণ বাইরে চলে যায়। এই গবেষণার ফলাফল দ্য এস্ট্রোফিজিক্যাল জার্নালে ২০১৬ সালের ১লা ডিসেম্বরে প্রকাশিত হয়। 
    গবেষকেরা দেখেন একবার যদি এসব চাঁদ তার গ্রহের গ্র্যাভিটি থেকে মুক্তি পেয়ে যায় তবে তাদের এক একটির ভাগ্য একেক রকম হয়। কেউ কেউ গ্যালাক্সীতে এতিমের মত এতিম গ্রহ বা রোগ প্ল্যানেট হয়ে ঘুরতে থাকে কোন নক্ষত্রের গ্র্যাভিটিতে আটকা না পড়ে। যেসব চাঁদ টিকে থাকে একসময় সেগুলো তার নিজের গ্রহের সাথে সংঘর্ষে ধ্বংস হয়ে যায়। 
    আশার কথা এই গবেষণায় শুধুমাত্র যেসব গ্রহ গুলি তার নিজ নক্ষত্রের খুব কাছে দিয়ে প্রদক্ষিণ করছে তাদের ব্যাপারে ফলাফল দেয়া হয়েছে। 

    No comments

    Post Top Ad

    Post Bottom Ad