Header Ads

  • সর্বশেষ

    জ্যোতিপদার্থবিজ্ঞানীরা সৃষ্টির শুরুতে তৈরি নক্ষত্র সম্পর্কে গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করেছেন।

    এখন পর্যন্ত কেউ দেখেনি মিল্কিওয়ের প্রথম নক্ষত্র কিভাবে সৃষ্টি হয়েছিল। তাদের দেখতে পারার কথাও ন্য। কারন এসব নক্ষত্র এতটাই ভারী ছিল যে সেগুলি তাদের সৃষ্টির কয়েক মিলিয়ন বছরের মাঝেই ধ্বংস হয়ে যায়। কিন্তু বিজ্ঞানীরা এসব নক্ষত্র নিয়ে এখনও গবেষণা করতে পারেন নক্ষত্রগুলি থেকে নিউক্লিয়ার ফিউশনের মাধ্যমে তৈরি হওয়া মৌলিক পদার্থগুলির সাহায্যে। কারন বেশী ভরের মৌলিক পদার্থগুলি তৈরি হয় নক্ষত্রের কেন্দ্রে এবং সুপারনোভা বিস্ফোরণের সময়। 
    শিল্পীর কল্পনায় বিগ ব্যাং এর প্রায় ৪০০ মিলিয়ন বছরের মাঝে তৈরি নক্ষত্র।
    টিমোথি বেয়ারস প্রথম জেনারেশনের নক্ষত্র থেকে তৈরি মৌলিক পদার্থে পরিপূর্ণ মহাকাশের এমন এলাকা থেকে প্রাপ্ত অতিবেগুনী রশ্মি নিয়ে গবেষণা করছেন। এজন্য তিনি হাবল স্পেস টেলিস্কোপের কসমিক অরিজিনস স্পেক্ট্রোগ্রাফ ব্যবহার করছেন। 

    নক্ষত্র BD+44 493 সবচেয়ে উজ্জ্বল দ্বিতীয় জেনারেশনের নক্ষত্র। এই নক্ষত্র থেকে আসা অতিবেগুনী রশ্মি নিয়ে গবেষণার সময় বেয়ারস ও তার দল এমন কিছু মৌলিক পদার্থের অস্তিত্ব পেয়েছেন যা আগে এ ধরণের নখত্রে পাওয়া যায়নি। বেয়ারস ও তার দল নক্ষত্রটিতে ফসফরাস,সালফার ও জিংকের অস্তিত্ব পেয়েছেন যেগুলো এর আগে কোনও দ্বিতীয় জেনারেশনের নখত্রে পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে এসব মৌলিক পদার্থগুলির পরিমাণ নির্ণয় করে প্রথম জেনারেশনের তারা সম্পর্কে জানার চেষ্টা করা হবে।

    এরাই প্রথম গবেষক দল যারা হাবল স্পেস টেলিস্কোপের কসমিক অরিজিনস স্পেক্ট্রোগ্রাফ ব্যবহার করে প্রাচীন নক্ষত্রের মৌলিক পদার্থ নিয়ে জানার চেষ্টা করছে। নক্ষত্র BD+44 493 এর আলো গবেষণা করে জানা যায় যে এই নক্ষত্রের আগের জেনারেশনে যে নক্ষত্র ছিল সেটি্র ভর সূর্যের ভরের ২০ গুণ ছিল। তার সুপারনোভা ছিল বেশ নিষ্প্রভ। 

    বর্তমানে শুধুমাত্র হাবল স্পেস টেলিস্কোপের সাহায্য অতিবেগুনী আলো সংগ্রহ করে প্রাচীন নক্ষত্রের মৌলিক পদার্থ সম্পর্কে গবেষণা চলছে। এই গবেষণায় যে ফলাফল এসেছে তাতে বিজ্ঞানীরা খুবই আশাবাদী। যদি আরও প্রাচীন নক্ষত্রের অতিবেগুনী আলো নিয়ে গবেষণা করতে হয় তবে আরও উচ্চ ক্ষমতার স্পেক্ট্রোগ্রাফ প্রয়োজন। একারনে নাসা হাই ডেফিনিশন স্পেস টেলিস্কোপের ব্যাপারে ভাবছে। 

    No comments

    Post Top Ad

    Post Bottom Ad