Header Ads

  • সর্বশেষ

    বাসযোগ্য গ্রহের কি বাসযোগ্য উপগ্রহ থাকতে পারে?

    এটা সতিই অসাধারণ প্রশ্ন। এর উত্তর সম্ভবত "না"। 

    একটি গ্রহের বাসযোগ্যতা নির্ভর করে কিছু বিষয়ের উপর। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল গ্রহের আকার ও ভর এবং গ্রহটি তার নক্ষত্র থেকে কত দূরে অবস্থান করছে। গ্রহের ভর ও আকার এবং নক্ষত্র থেকে দূরত্ব নির্ধারণ করে দেয় গ্রহটির বায়ুমন্ডল কত ঘন হবে।

    আমাদের পৃথিবীর যা আকার তা জীবনের উদ্ভব হবার জন্য একদম সঠিক। যদি এটি সূর্যের আরও কাছে থাকত তবে জীবন ধারণের অনুকূল পরিবেশ হবার জন্য পৃথিবীর আকার এখনকার চেয়ে ছোট হওয়া লাগত। সেই সাথে তার বায়ুমন্ডলের ঘনত্ব এবং তাতে এখনকার চেয়ে কম পরিমাণ কার্বনডাই অক্সাইড থাকতে হত। তা নাহলে কি অবস্থা হবে তার সবচেয়ে বড় উদাহরণ শুক্র বা ভেনাস। একই ভাবে পৃথিবী যদি সূর্য থেকে বর্তমানের চেয়ে বেশী দূরে অবস্থান করত তবে পৃথিবীর আকার আরও বড় হতে হত, তার বায়ুমন্ডলের ঘনত্ব বর্তমানের চেয়ে বেশী এবং সেই সাথে কার্বনডাই অক্সাইডের পরিমাণও বর্তমানের চেয়ে বেশী হতে হত। যদি এমন না হয় তবে তার উদাহরণও আছে, মঙ্গল।

    পৃথিবী, মঙ্গল ও লুনার আকারের তুলনা।
    কিন্তু গ্রহ এবং তার উপগ্রহ আকারে ভিন্নতা থাকে। তাদের দূরত্বও তাদের নক্ষত্র থেকে প্রায় একই থাকে। কল্পনা করুন আমাদের চাঁদের বদলে মঙ্গল পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করছে। মঙ্গল হয়ত তবুও এই দূরত্বে আকারে কিছুটা ছোট হত জীবনের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ ধারণ করতে। এখন যদি মঙ্গলকে তার আকার অনুসারে বাসযোগ্য করতে সূর্যের কাছকাছি তার জন্য উপযুক্ত অবস্থানে নিয়ে যাওয়া হয় তবে পৃথিবীর তাপমাত্রা বেড়ে যাবে। 

    যদি গ্রহ এবং তার উপগ্রহ কাছাকাছি আকৃতির হয় তবে দুটি জ্যোতিষ্কই বাসযোগ্য হতে পারে।কিন্তু এই ধরনের কক্ষপথ বেশী দিন স্থায়ী থাকার সম্ভবনা অনেক কম। এরকম জোড়া এখনও পাওয়া যায়নি।কিন্তু মহাকাশ একটি বিশাল জায়গা। এখানে সব কিছুই থাকতে পারে। এখন পর্যন্ত যতগুলি এক্সোপ্ল্যানেট আবিষ্কার হয়েছে তাদের কারও উপগ্রহ নেই।( ২৯শে অগাস্টের পর নিশ্চিত করে বলা যাবে)। আমাদের সৌরজগতের ভেতরের দুটি গ্রহ বুধ ও শুক্র কারও উপগ্রহ নেই, এমনকি অস্থায়ী চাঁদও নেই যেমন মঙ্গলের আছে। গ্রহ যাদের তলনামুলক বড় চাঁদ আছে যেমন পৃথিবী, সেখানে ছোট জ্যোতিষ্ক বাসের অযোগ্য হবার সম্ভবনাই বেশি।

    No comments

    Post Top Ad

    Post Bottom Ad