প্লুটোয় অবতরণের দৃশ্য কেমন হতে পারে?
নিউ হরাইজোন স্পেসক্র্যাফটের তোলা ১০০টি ছবি নিয়ে নাসা প্রায় এক সপ্তাহ ধরে প্লুটোতে অবতরনের দৃশ্যটি কেমন হবে তার একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। অসাধারণ একটি অভিজ্ঞতার জন্য প্রস্তুত হন। এজন্য নিউ হরাইজোনের তোলা সাদাকালো ছবি গুলোকে রঙ্গিন করতে হয়েছে।
ভিডিওটি শুরু হয়েছে প্লুটো ও তার চাঁদ শ্যারনের দূরের দৃশ্য থেকে। শেষ হয়েছে স্পুটনিক প্ল্যানিশিয়ার সৈকতে। স্পুটনিক প্ল্যানিশিয়া হল বরফে ঢাকা মোহনা। ভিডিওটিতে আমরা প্লুটোকে তার আসল লাল, ধুসর ও তামা রঙে দেখতে পাচ্ছি। প্লুটোর দক্ষিণ-পশ্চিম গোলার্ধের ঘন লাল রঙের কারন হল হাইড্রোকারবন যৌগ থোলিন। প্লুটোর বায়ুমন্ডলে থোলিন তৈরি হয়। যখন সরাসরি সূর্যের আলো পায় তখন এই লাল বরফ বাষ্পে পরিণত হয়ে উত্তর গোলার্ধে চলে যায়। সেখানে গিয়ে আবার কঠিন বরফে পরিণত হয়। এই গলা ও জমার প্রতিনিয়ত ঘটনার জন্য প্লুটোতে এত সব রঙের উৎপত্তি।
নিউ হরাইজোন প্রায় ছয় সপ্তাহ ধরে ছবি গুলি তুলেছে। নিউ হরাইজোনে যে শক্তিশালী টেলিস্কোপিক ক্যামেরা আছে তা দিয়ে একটি ফুটবল মাঠের সমান আকৃতির বস্তুও স্পষ্ট বোঝা যায়।
No comments