মিল্কিওয়েতে সূর্যের অবস্থান এখন কোথায়?
আমাদের সূর্য যেখানে অবস্থান করছে মিল্কিওয়ের সেই জায়গার নাম লোকাল বাবল। লোকাল বাবল আসলে একটি ফাঁকা জায়গা বা ক্যাভিটি যা মিল্কিওয়ের ওরায়ন আরম এ অবস্থান করছে। লোকাল বাবলের মাঝে একটি জায়গা লোকাল ইন্টারস্টেলার ক্লাউড। এর মাঝে অবস্থান করছে সৌরজগৎ ও জী-ক্লাউড।। এটা প্রায় ৩০০ আলোকবর্ষ জুড়ে বিস্তৃত। এখানে নিউট্রল হাইড্রোজেনের ঘনত্ব প্রতি ঘন সেন্টিমিটারে মাত্র ০.০৫টি। মিল্কিওয়ের নিউট্রল হাইড্রোজেনের ঘনত্ব প্রতি ঘন সেন্টিমিটারে ০.৫টি।লোকাল ইন্টারস্টেলার ক্লাউডের নিউট্রল হাইড্রোজেনের ঘনত্ব প্রতি ঘন সেন্টিমিটারে ০.৩টি। এখানে যে গরম বিস্তৃত গ্যাস আছে তা এক্স-রে বিকিরণ করে। লোকাল বাবলের এই খুবই ছড়ানো গ্যাসের উৎস প্রায় দশ থেকে বিশ মিলিয়ন বছর আগের একটি সুপারনোভা বিস্ফোরণ। আগে এর উৎস ধরা হত গেমিঙ্গা নামের একটি পালসারকে। এই পালসার জেমিনি কন্সটিলেশনে অবস্থিত। পরে প্রমাণিত হয় যে এর উৎস একটি সুপারনোভা নয়, কয়েকটি সুপারনোভার কারণে এর সৃষ্টি।
গত পাঁচ মিলিয়ন বছর ধরে সূর্য লোকাল বাবলের ভেতর দিয়ে যাত্রা করছে। লোকাল বাবল সম্পূর্ণ গোলাকার নয়। অনেকটা ডিমের মত আকারের। লোকাল ইন্টারস্টেলার ক্লাউডের প্রতিবেশী আরও তিনটি ইন্টারস্টেলার ক্লাউড আছে। এর একটি হল লুপ ওয়ান। এর দূরত্ব সূর্য থেকে প্রায় ৫০০ আলোকবর্ষ। এর মাঝে নক্ষত্র এন্টারেস অবস্থিত, এর অন্য নাম আলফা স্করপি। লোকাল ইন্টারস্টেলার ক্লাউড ও লুপ ওয়ান অনেকগুলো টানেল দিয়ে সংযুক্ত। এগুলোকে বলে লুপাস টানেল। অন্য দুটি ইন্টারস্টেলার ক্লাউডের নাম লুপ টু বাবল ও লুপ থ্রী বাবল।
ফেব্রুয়ারী ২০০৩ সালে উৎক্ষেপণ করা হয় কসমিক হট ইন্টারস্টেলার প্লাজমা স্পেক্ট্রোমিটার। এটি এপ্রিল ২০০৮ সাল পর্যন্ত সচল ছিল। এর কাজ ছিল লোকাল বাবলের হট গ্যাস পরীক্ষা করা। ১৯৯২ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত পরিচালিত এক্সট্রিম আলট্রাভায়োলেট এক্সপ্লোরারেরও গবেষণার জায়গা ছিল লোকাল বাবল। এই মিশনে এক্সট্রিম আলট্রাভায়োলেট রশ্মির উৎস খোঁজার কাজ হয়েছিল। যেসব উৎস বাবলের বাইরে ছিল সেগুলোও সনাক্ত করা হয়েছিল।
Vaia amra jarA science porinai tader, jonno ektu sohoz vhasai likhle valo hoto
ReplyDelete