মঙ্গলের প্রাচীন আগ্নেয়গিরিতে প্রায় দুই বিলিয়ন বছর একটানা উদ্গীরণ হয়েছিল।
মাউন্ট স্ট্রম্বলী, সিসিলী'র দ্বীপের উত্তর পাশে অবস্থিত। এই আগ্নেয়গিরিটি একটানা প্রায় ২০০০ বছর ধরে লাভা উদ্গীরন করেছিল। কিন্তু মঙ্গলের আগ্নেয়গিরির সক্রিয়তার কাছে এটা নাক থেকে একবার সর্দি ফেলানোর মত। নতুন ভূতাত্ত্বিক জরিপের কারণে এখন মঙ্গলের উল্কাপিণ্ড গবেষণার সুযোগ হয়েছে। এ থেকে জানা গেছে সুদূর অতীতে মঙ্গলের একটি আগ্নেয়গিরি একটানা দুই বিলিয়ন বছর ধরে উদ্গীরণ করেছে।
অলিম্পাস মনস, মঙ্গল। |
মানুষ মঙ্গলে এখনও পা দিতে পারেনি কিন্তু বিজ্ঞানীরা মার্স রিকনাসেন্স অরবিটার ও কিউরিওসিটি রোভারের সাহায্যে মঙ্গলের ভূতত্ত্ব নিয়ে গবেষণা করতে পারছে। মাঝে মাঝে মঙ্গল থেকে আসা কিছু উল্কাপিণ্ড পৃথিবীতেও পাওয়া যায়। গত বছর এরকম প্রায় ১০০টির মত উল্কাপিণ্ড পাওয়া গেছে, বেশীরভাগই হয় এন্টার্কটিকা নয়ত উত্তর আফ্রিকা থেকে।"যদিও এখন পর্যন্ত কোন মানুষ মঙ্গলে পা দিতে পারেনি, তারপরও গবেষণার জন্য মঙ্গলের মাটির নমুনা আমাদের কাছে আছে। ধন্যবাদ এইসব উল্কাপিণ্ড গুলিকে।" বলেন মার্ক ক্যাফে, এই গবেষণা দলের একজন গবেষক।"এন্টার্কটিকা ও অন্যান্য মরুভূমিতে প্রতিবছর ১০০০ এরও বেশী ছোট ছোট উল্কাপিণ্ড পতিত হয়। তাদের মাঝে অল্প কিছু কাজে লাগে যেগুলোর উৎপত্তি মঙ্গল ও পৃথিবীর চাঁদে। যেগুলি সাধারণ মানের সেগুলি স্মিথসোনিয়নের কাছে পাঠানো হয়। কিন্তু যেগুলি আলাদা ধরণের সেগুলিকে নাসা ও অন্যান্য বিজ্ঞানীদের কাছে পাঠানো হয় যার এগুলোর জন্য অনুরোধ জানান।" ক্যাফে ও তার গবেষণা দল পারড্যু রেয়ার আইসোটোপ মেজারমেন্ট (PRIME)'র ল্যাবরেটরীতে সংগ্রহ করা ১০০টির উল্কাপিন্ডের মধ্যে ৩০টি নিয়ে গবেষণা শেষ করেছেন। এতে এসব উল্কাপিন্ডে দীর্ঘজীবি রেডিওনিউক্লাইড মাপা হয় বয়স বের করার জন্য। কসমিক রে প্রয়োগ করে বের করা হয় পৃথিবীতে পড়ার আগে কত সময় এটি মহাকাশে ছিল। যে ফলাফল পাওয়া যায় তাতে জানা যায় কিছু উল্কাপিণ্ড যতদিন আগে কিছু বড় গ্রহানুর আঘাত মঙ্গলে হয়েছিল তত সময় ধরে মহাকাশে বিচরন করেছে।
১১টি উল্কাপিন্ডের একটি উল্কাপিণ্ড গবেষকদের নজর কাড়ে। এরা প্রায় ১.১ মিলিয়ন বছর ধরে কসমিক রে'র মাঝে ছিল। কিন্তু যেখানে দশটি উল্কার বয়স বের করা হয় প্রায় ৫০০ মিলিয়ন বছর, এখানে একটি উল্কাপিণ্ড অন্যগুলির চেয়ে অনেক বেশী পুরাতন পাওয়া যায়। নর্থ ওয়েস্ট আফ্রিকা 7635 উল্কাপিন্ডের ভর ১৯৬ গ্রাম। ২০১২ সালে আলজেরিয়ায় আবিষ্কার হয় এটি। এর বয়স বের হয় প্রায় ২.৪ বিলিয়ন বছর। অন্যগুলির চেয়ে প্রায় ২ বিলিয়ন বছর পুরাতন। "এই দুই বিলিয়ন বছর থেকে বোঝা যায় যে মঙ্গলে একটি জায়গাতে কমপক্ষে দুই বিলিয়ন বছর ধরে কোন লাভার উৎস বিদ্যমান ছিল।" বলেন ক্যাফে।" আমাদের পৃথিবীতে একই জায়গাতে দুই বিলিয়ন বছর ধরে লাভা উদ্গীরন করার মত আগ্নেয়গিরি নেই।" এই পার্থক্যের কারণ মঙ্গল পৃথিবীর মত টেকটোনিক্যালি সক্রিয় নয়। আমাদের টেকটোনিক প্লেটগুলি একটি নির্দিষ্ট জায়গাতে তার দুই বিলিয়ন তম জন্মদিন আসার অনেক আগেই অন্য জায়গাতে সরে যায়। এই কারণে মঙ্গলের আগ্নেয়গিরি গুলি অনেক উঁচু আর বড় হয়েছে। এর সবচেয়ে বড় উদাহরণ সৌরজগতের সবচেয়ে বড় আগ্নেয়গিরি অলিম্পাস মনস।
"আমরা এখনও জানিনা এই উল্কাপিন্ডটি মঙ্গলের কোন এলাকা থেকে এসেছে, হতে পারে এটা অলিম্পাস মনসের, আবার নাও হতে পারে।কিন্তু এই উল্কাপিন্ডগুলির কারণে আমরা মঙ্গলে নামার আগেই সেখানকার ভূতত্ত্ব সম্পর্কে শিখতে পারছি।" বলেন ক্যাফে।
এই গবেষণাটি সাইন্স এডভান্সেস জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
Thanks endless..... nothing to say...just no language no variety of my gratefulness to you.....it's great opportunity for like me.....!
ReplyDelete