Header Ads

  • সর্বশেষ

    নতুন আবিষ্কৃত বাইনারী সিস্টেমের এস্টরয়েড বেল্ট শেখাচ্ছে কিভাবে গ্রহ তৈরি হয়।

    যদিও আমাদের সৌরজগতের একমাত্র নক্ষত্র হল সূর্য। কিন্তু সব সৌরজগতের জন্য ব্যাপারটা একই রকম নয়। পুরোপুরি শতকরা পরিমাণ সঠিকভাবে না জানা গেলেও মিল্কিওয়ের অন্তত অর্ধেক নক্ষত্র বাইনারী সিস্টেমের। তার মানে হল বাইনারী সিস্টেমের নক্ষত্র খুবই প্রচলিত। তাই এখন এটা জানার বিষয় যে বাইনারী স্টার সিস্টেমে গ্রহ কি করে তৈরি হয়।
    ধারণা করা হয় যে নতুন নক্ষত্র তৈরির সময় তার চারিদিকে ঘুরতে থাকা ধুলা ও গ্যাসের চাকতি থেকে গ্রহের উৎপত্তি হয়। এই চাকতিকে বলে প্রোটোপ্ল্যানেটারি ডিস্ক। বাইনারী স্টার সিস্টেমের নক্ষত্রদের চারিদিকেও এমন প্রোটোপ্ল্যানেটারি ডিস্ক আছে কিনা তা নিয়ে বিজ্ঞানীদের মাঝে অনেক বিতর্ক আছে। দেখা গেছে যে বাইনারী স্টার সিস্টেমের নক্ষত্রদের চারিদিকেও যে প্রোটোপ্ল্যানেটারি ডিস্ক আছে তা খুব স্পস্ট নয়। গ্রহ তৈরির জন্য এই প্রোটোপ্ল্যানেটারি ডিস্ক যথেষ্ট স্থায়ী হতে হয়। যদিও দুই নক্ষত্রের গ্র্যাভিটির কারণে প্রোটোপ্ল্যানেটারি ডিস্ক খুব একটা স্থায়ী হবার সম্ভবনা কম। 
    এখন পর্যন্ত বাইনারী সিস্টেমের চারিদিকে যত এক্সোপ্ল্যানেট পাওয়া গেছে সবই বৃহস্পতির কাছাকাছি আকৃতির গ্রহ। এসব গ্রহ হয়ত দুটি নক্ষত্র থেকেই অনেক দূরে তৈরি হয়েছে। কিন্তু যেসব পাথুরে গ্রহ তৈরি হয়েছে সে ক্ষেত্রে যুক্তি কি? এগুলোকি তবে নক্ষত্রের কাছাকাছি তৈরি হয়েছিল যেখানে প্রোটোপ্ল্যানেটারি ডিস্ক স্থায়ী হতে পারেনা? নতুন একটি বাইনারী সিস্টেমের নক্ষত্র পর্যবেক্ষণ বলছে হতেই পারে এমন টা। 
    এই বাইনারী সিস্টেমের নাম SDSS 1557। এই সিস্টেমে একটি সাদা বামন নক্ষত্র আছে যেটি বৃহস্পতির চেয়ে প্রায় ৬০ গুণ বেশী ভরের একটি তুলনামূলক বেশী ভরের বাদামী বামন নক্ষত্রকে কেন্দ্র করে ঘুরছে। সাম্প্রতিক সময়ে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এই বাইনারী সিস্টেমে একটি এস্টরয়েড বেল্ট খুঁজে পেয়েছেন। এটি দুটী কারণে গুরুত্বপূর্ণ। 
    প্রথমত, যেহেতু সেখানে একটি সাদা বামন নক্ষত্র আছে তার মানে হল এই সিটেমের বয়স অনেক। আমাদের সূর্যও এক সময়ে সাদা বামনে পরিণত হয়ে যাবে। তাই কোন এস্টরয়েড বেল্ট কিছুটা সময়ের জন্য স্থায়িত্ব পেয়ে যেতেও পারে।
    দ্বিতীয়ত, এস্টরয়েড বেল্ট তৈরি হয় পাথুরে ও ধাতু সমৃদ্ধ পদার্থ দিয়ে। এগুলো দিয়ে পৃথিবীর মত একটি গ্রহ তৈরি করা যেতেই পারে। 
    এগুলো কোনভাবেই প্রমাণ করেনা যে ঐ সিস্টেমে কোন গ্রহ আছে। বৃহস্পতির গ্রাভিটির জন্য এস্টর‍ইয়েড বেল্টে কোন গ্রহ তৈরি হতে পারেনি। SDSS 1557 এও হয়ত এরকম কোন কারণ আছে। কিন্তু এই আবিষ্কার যাই দেখাক না কেন, কোন ভাবেই আমরা পৃথিবীর মত একটি গ্রহের অস্তিত্ব যে সেখানে নেই এটা বলতে পারিনা।   

    No comments

    Post Top Ad

    Post Bottom Ad