Header Ads

  • সর্বশেষ

    বিভিন্ন ধরণের চন্দ্রগ্রহন।

    একটি চন্দ্রগ্রহণ হয় যখন চাঁদ পৃথিবীর ছায়ার মাঝে দিয়ে চলে যায়। পৃথিবীর এই ছায়াকে বলে আম্ব্রা (UMBRA)। এটা তখনই হতে পারে যখন চাঁদ,পৃথিবী ও সূর্য একই সরলরেখায় আসে। আরও পরিস্কার করে বললে চাঁদ ও সূর্যের মাঝখানে পৃথিবী চলে আসে। একটি চন্দ্রগ্রহণ হতে পারে শুধুমাত্র পূর্ণিমার রাতে। চন্দ্রগ্রহণ তুলনামূলকভাবে ক্ষুদ্র এলাকা জুড়ে দেখা যায়। পৃথিবীর যে অংশে রাত থাকে শুধুমাত্র সে অংশ থেকেই চন্দ্রগ্রহণ দেখা যায়। একটি চন্দ্রগ্রহণ ঘন্টা খানেক স্থায়ী হতে পারে। এর কারণ পৃথিবীর যে ছায়াটি পড়ে, তার আয়তন অনেক বড়। আপনি খালি চোখে নিরাপদেই চন্দ্রগ্রহণ দেখতে পারবেন।   


    পৃথিবীর ছায়াকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়। ১) আম্ব্রা ২) পেনাম্ব্রা।আম্ব্রা হল পৃথিবীর ছায়ার ভেতরের দিকটা, যেখানে ছায়াটা বেশী অন্ধকার।কারন, আম্ব্রাতে সরাসরি সূর্যের রেডিয়েশন পড়তে পারেনা। আম্ব্রা'র অংশ বাদে বাকীটুকুর নাম পেনাম্ব্রা। এটা বাইরের দিকের ছায়া। সূর্যের আকার অনেক বড় হবার কারণে পৃথিবী সূর্যের আলোর সবটুকু বাধা দিতে পারেনা। ফলে ছায়ার এই অংশ আম্ব্রা'র চেয়ে কম অন্ধকার হয়। 

    পেনাম্ব্রাল চন্দ্রগ্রহনঃ
    এটা হয় যখন চাঁদ পৃথিবীর ছায়ার পেনাম্ব্রা দিয়ে অতিক্রম করে। এতে চন্দ্রপৃষ্ঠ আবছা অন্ধকার পায়। টোটাল পেনাম্ব্রাল একলিপ্স একটি বিশেষ ধরণের চন্দ্রগ্রহণ। এট আঘটে তখন, যখন চাঁদ পুরোপুরি পৃথিবীর পেনাম্ব্রা'র ভেতরে চলে আসে। এই ধরণের চন্দ্রগ্রহণ বেশ বিরল। যখন হয় তখন চাঁদের একটি অংশ অন্য অংশের চেয়ে তুলনামূলক বেশী অন্ধকার থাকে। কারণ ঐ অংশটি পৃথিবীর আমব্রা'র কাছাকাছি থাকে।  
    আংশিক চন্দ্রগ্রহণ হয় তখন, যখন চাঁদের একটি অংশ থাকে পৃথিবীর আম্ব্রা'র মাঝে, অন্য অংশ থাকে পেনাম্ব্রা'র মাঝে। মানে দুই নৌকায় পা দেয়া আর কি। 
    পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণঃ.
    যখন চাঁদ সম্পূর্ণভাবে পৃথিবীর কেন্দ্রীয় ছায়া অর্থাৎ আম্ব্রা দিয়ে অতিক্রম করে তখন পূর্ণ চন্দ্রগ্রহন হয়। যখন চাঁদকে এই ছায়া গ্রাস করতে ছাকে তখন চাঁদের গতিবেগ থাকে ঘন্টায় ২৩০০ মাইল বা এক কিলোমিটার প্রতি সেকেন্ডে। একটি পূর্ণ চন্দ্রগ্রহন প্রায় ১০৭ মিনিট থেকে প্রায় চার ঘন্টা ব্যাপীও হতে পারে। এটা নির্ভর করছে গ্রহনের সময় চাঁদ ও পৃথিবীর মধ্যকার দূরত্বের ওপর। যখন এই দূরত্ব সবচেয়ে বেশী থাকে তখন গ্রহণ সবচেয়ে বেশী সময় ধরে হয়, আর যখন দূরত্ব সবচেয়ে কম থাকে তখন গ্রহণ কম সময় স্থায়ী হয়। 
    সেলেনেলিওন, অক্টোবর ২০১৪, মিনাপোলিস থেকে। ছবিঃ উইকিপিডিয়া।
    সেলেনিলিওনঃ
    এটা হয় যখন সূর্য ও গ্রহণরত চাঁদ একসাথে দেখা যায়। এটা হতে পারে শুধুমাত্র দুটি সময়ে। সূর্যাস্তের সময় নয়ত সূর্যোদয়ের সময়। এসময় সূর্য ও চাঁদের অবস্থান থাকে একটি আরেকটির বিপরীত দিকে।এই ঘটনাকে অনেকে দিগন্ত গ্রহণও বলে। পৃথিবীর বায়ুমন্ডলের কারণে আলোর প্রতিসরণ হয়, এতে চাঁদকে তার প্রকৃত অবস্থানের চেয়ে একটু ওপরেও দেখা যেতে পারে। 

    No comments

    Post Top Ad

    Post Bottom Ad