Header Ads

  • সর্বশেষ

    চাইলে আপনিও এখন প্ল্যানেট নাইন খুঁজে পেতে বিজ্ঞানীদের সাহায্য করতে পারেন।

    প্ল্যানেট নাইন খোঁজার মাত্রা বাড়ানো হচ্ছে এবং এখন এই খোঁজাখুঁজিতে যে কেউই অংশ নিতে পারবে। আপনার এ জন্য যা যা লাগবে তা হল ইন্টারনেট সহ একটি ভাল মানের কম্পিউটার, প্রচুর ধৈর্যশক্তি এবং এমন কিছু খুঁজে পাবার জন্য অটুট লক্ষ্য, সেই সাথে এ সম্পর্কে পর্যাপ্ত লেখাপড়া থাকতে হবে। প্ল্যানেট নাইন হল প্লুটো'র কক্ষপথের বাইরের একটি গ্রহ যা খুঁজে পাবার চেষ্টা বিজ্ঞানীরা চালিয়ে যাচ্ছেন গত দুই দশকেরও বেশী সময় ধরে। যদি এটা আসলেই থেকে থাকে তবে তা পৃথিবীর চেয়ে বড় হবে, বলতে গেলে তা হবে মিনি নেপচুন। 
    ব্যাকইয়ার্ড ওয়ার্ল্ডসঃ প্ল্যানেট নাইন নামে নাসা ও ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোরনিয়া'র একটি নতুন কার্যক্রম শুরু হয়েছে যারা প্ল্যানেট নাইন খোঁজার জন্য লোক খুজছে। এ জন্য সবাই নাসা'র অয়াইড ফিল্ড সার্ভে এক্সপ্লোরার (WISE) মিশনের এর আর্কাইভের সমস্ত ডেটা ব্যবহার করা যাবে। এই মিশনের কাজ হল মহাকাশে গ্রহাণু ও অনুজ্জ্বল জ্যোতিষ্ক খুঁজে বের করা। এটা প্ল্যানেট নাইনও হতে পারে আবার একটি ব্রাউন ডোয়রফও হতে পারে। 

    প্রস্তাবিত প্ল্যানেট নাইন পৃথিবী ও সূর্যের দূরত্বের প্রায় ৫০০ গুণ বেশী দূরত্বে আছে বলে ধারণা করা হয়। এরপরও এটি আমাদের সৌরজগতের একটি অংশ হিসেবে বিবেচিত হবে। এর কক্ষপথ খুবই উপবৃত্তাকার। প্ল্যানেট নাইনকে এক্সোপ্ল্যানেট বললে ভুল হবে। এটি কিন্তু ষড়যন্ত্র তত্ত্বের নিবিরুও নয়।প্ল্যানেট নাইনের ধারণা এসেছে সৌরজগতের বাইরের দিকে থাকা অসংখ্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জ্যোতিষ্কের অবস্থান। এগুলো আমাদের সূর্যকে এমনভাবে প্রদক্ষিণ করছে তাতে মনে হয় তাদের উপর কোন অজানা বিশাল গ্রহের প্রভাব আছে। এটার অস্তিত্বের প্রমাণও দিন দিন শক্তিশালী হচ্ছে বলে মনে করে ক্যালিফোর্নিয়া ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি'র জ্যোতির্বিদ মাইক ব্রাউন। "সে সব প্রমাণ আমাদের কাছে আছে তা সত্যিই অসাধারণ। কিন্তু এখন পর্যন্ত এটা এখনও হলফ করে বলা যাচ্ছেনা যে যে জায়গার কথা আমরা ভাবছি এটা ঠিক সেখানেই আছে।" বলেন ইউনিভার্সিটি অব এরিজোনা'র প্ল্যানেটারী সায়েন্সেসের একজন প্রফেসর রেনু মালহোত্রা। 
    প্রস্তাবিত গ্রহটির অনেকগুলি নাম আছে। প্ল্যানেট নাইন, প্ল্যানেট এক্স, প্ল্যানেট টেন। সৌরজগতের এখন পর্যন্ত সর্বসম্মতি প্রাপ্ত গ্রহের সংখ্যা আটটি।২০০৬ সালের পর থেকে প্লুটোকে গ্রহ এখন না ধরা হলেও দীর্ঘদিন এটি গ্রহের মর্যাদায় ছিল। ছোট্ট প্লুটো ১৯৩০ সালে ক্লাইড টমবাউ আবিষ্কার করেন। এখন প্লুটো ও এ ধরণের দূরবর্তী গ্রহের মত জ্যোতিষ্ককে ডোয়রফ প্ল্যানেট বলা হয়। সৌরজগতের এই অংশকে কাইপার বেল্ট বলা হয়। বিজ্ঞানীরা এখন পর্যন্ত সেখানে এরকম ছোট ছোট গ্রহের মত বস্তু আবিষ্কার করে চলেছেন।

    ২০১৪ সালে কার্নেগী ইন্সটিটিউশনের স্কট শেপারড ও হাওয়াই এর জেমিনি অব্জারভেটরী'র শাদ ট্রুজিলো একটি গবেষণা প্রকাশ করেন। সেখানে কাইপার বেল্টের গতির উপর প্রভাব ফেলছে এমন একটি ভারী বস্তুর কথা বলা হয়। তাঁরা বলেন কাইপার বেল্ট সূর্যকে এমন একটি পথে প্রদক্ষিণ করছে যাতে এই গ্রহের সাথে কোন সংঘর্ষ না হয়। এই গ্রহটী খুবই বড়। বিশাল একটি জমে যাওয়া বরফের বল। ২০১৬ সালে মাইক ব্রাউন ও তাঁর ক্যালিফোর্নিয়া ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি'র সহকর্মী কন্সট্যান্টিন ব্যাটিজিন একটি গবেষণা প্রকাশ করেন যাতে প্ল্যানেট নাইনের সম্ভাব্য কক্ষপথের চিত্র দেখান। মাইক ব্রাউন গত সপ্তাহে বলেন দূরের এই সব গ্রহ সদৃশ বস্তু গুলিকে আরও পর্যবেক্ষণ করা প্রয়োজন।কিছুদিন আগের করা হিসাব অনুসারে প্ল্যানেট নাইনের ভর পৃথিবীর চেয়ে কমপক্ষে আট গুণ বেশী এবং পূর্বের করা হিসাবের চেয়ে কিছুটা সূর্যের কাছাকাছি অবস্থিত। তাঁর মতে এটি একটি বিশাল আদিম গ্রহের কেন্দ্র যা দীর্ঘদিন আগে সৌরজগৎ থেকে ছিটকে বেরিয়ে গিয়েছিল। তাঁর মতে এই গ্রহের একটি বায়ুমণ্ডলও আছে, যা দিয়ে তাকে শনাক্ত করার কাজটা অনেকটা সহজ হয়ে যেতে পারে। যদি এটি পাথুরে গ্রহ হয় তবে আকারে বেশ ছোট হবে, অনেক অনেক ঠান্ডা, অন্ধকার ও খুঁজে পেতে খুবই সমস্যা হবে। 
    শেপারড বলেন তিনিও গ্রহটি খুঁজে পাওয়ার ব্যাপারে যথেষ্ট আশাবাদী। " আমাদের কাছে যা তথ্য প্রমাণ আছে সে অনুসারে প্লুতো'র কক্ষপথের বাইরে একটি গ্রহ থাকার ব্যাপারে আমরা ৯০ ভাগ নিশ্চিত।" তাঁরা গ্রহটিকে প্ল্যানেট এক্স বা নাইন বলেন না, বলেন প্ল্যানেট ওয়াই। মালহোত্রা বলেন যে তত্ত্বটি দাঁড় করানো হয়েছে অপর্যাপ্ত পর্যবেক্ষণ অবলম্বনে। তাঁর মতে গ্রহটির যা কক্ষপথের চিত্র, তাঁর অপারেও আরও গ্রহ থাকলেও তিনি অবাক হবেন না। 
    তাহলে কেন এখনও দেখা যাচ্ছেনা গ্রহটি? "এটা হয়ত মিল্কিওয়েতে লুকিয়ে আছে।" মালহোত্রা বলেন। তাঁর বলার অর্থ হল গ্রহটি এতটাই নিষ্প্রভ যে মিল্কিওয়ের নক্ষত্রের উজ্জ্বলতার কাছে তা আরও নিষ্প্রভ দেখাচ্ছে। 

    1 comment:

    1. কিন্তু কিভাবে খুজব সেটা বললেন না তো?

      ReplyDelete

    Post Top Ad

    Post Bottom Ad