আকাশ দেখাঃ পর্ব-৩। বিভিন্ন ধরণের নক্ষত্র।
জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন ধরণের নক্ষত্রকে আলাদা করার জন্য নানা ধরণের পদ্ধতির অবতারণা করেছেন। এর মাঝে একটি ধরণের প্রকারভেদ হল মরগান-কেনান প্রকারভেদ। এই পদ্ধতিতে বিভিন্ন নক্ষত্রকে তাদের উজ্জ্বলতার ও তাপমাত্রা পার্থক্যের সাহায্য নিয়ে আলাদা করা হয়েছে। নিচে তাদের ব্যাপারে আলোচনা করা হল।
মেইন সিকুয়েন্স স্টারঃ মহাকাশে এই ধরণের নক্ষত্রের সংখ্যাই সরচেয়ে বেশী। আমাদের সূর্যও এই ধরণের নক্ষত্র। তাদের কোর বা কেন্দ্রের যা তাপমাত্রা তাতে দুটি হাইড্রোজেন পরমাণু একত্রিত হয়ে একটি হিলিয়াম পরমানুতে পরিণত হতে পারে। সাথে তৈরি হয় আলো ও প্রচন্ড শক্তি। এই ধরণের নক্ষত্র বিভিন্ন আকার ও রঙের হতে পারে। এই ধরণের নক্ষত্র আবার বিভিন্ন ধরণের হয়।নিচের ছবিটি দেখুন।
জায়ান্টঃ একটি জায়ান্ট নক্ষত্রের ব্যাস মেইন সিকুয়েন্স স্টার থেকে অনেক বেশী হয় কিন্তু পৃষ্ঠ তাপামাত্রা তুলনামূলক অনেক কম হয়। এসব নক্ষত্রের কেন্দ্রের তাপামত্রা এতটাই বেশী যে হিলিয়াম কার্বনে পরিণত হয়। একটি উদাহরণ হল আর্কটুরাস, কন্সটেলেশন বুটেস এ অবস্থান করছে।
সুপারজায়ান্টঃ এরা মহাকশের সবচেয়ে ভারী, বড় ও উজ্জ্বল নক্ষত্র। টেলিস্কোপ ছাড়াই আকাশে প্রচুর সুপারজায়ান্ট দেখা যায়। যেমন ডেনেব, রাইজেল। এসব নক্ষত্র বিস্ফোরিত হয়ে সুপারনোভা তৈরি করে। এরপর ভরের উপর নির্ভর করে কোনটা ব্ল্যাকহোল বা নিউট্রন স্টারে পরিণত হয়।
ভেরিয়েবল স্টারঃ এসব নক্ষত্রকে পৃথিবী থেকে দেখলে মনে হয় যেন সময়ের সাথে তাদের উজ্জ্বলতার পরিবর্তন হচ্ছে। এটা হয় নক্ষত্রের সংকোচন বা প্রসারনের জন্য বা তার সামনে দিয়ে অন্য কোন মহাজাগতিক বস্তু গেলে। এমন একটি উদাহরণ হল সেফিড ভেরিয়েবল।
No comments