Header Ads

  • সর্বশেষ

    আকাশ দেখা। পর্বঃ ০৫। বুঝুন কোনটা আকাশ দেখতে সবচেয়ে ভালো সময়।

    আকাশ সবচেয়ে ভালোভাবে দেখতে হলে কিছু কিছু সময়ের জন্য অপেক্ষা করতে হয়। 

    আবহাওয়াঃ মেঘলা, কুয়াশাচ্ছন্ন, ধূলি কিংবা স্মোগ ( ধূলি ও কুয়াশার মিশ্রিত অবস্থা ) থাকাটা আকাশ দেখার জন্য মোটেও ভালো অবস্থা নয়। এগুলো আপনার দৃষ্টিসীমা কমিয়ে দেবে। এমনকি রাতের আকাশ খুব পরিষ্কার থাকলেও যদি বাতাসে আর্দ্রতা বেশী থাকে সেটাও আকাশ দেখার জন্য ভালো অবস্থা নয়। কারণ আর্দ্রতা অনেক ক্ষেত্রেই কুয়াশাচ্ছন্ন পরিবেশের সৃষ্টি করে। যদি আপনি এমন এলাকায় থাকেন যেখানে আকাশ বেশীরভাগ সময়ই মেঘে ঢাকা থাকে বা বাতাসে আর্দ্রতা প্রচুর, তবে ভালোভাবে আকাশ দেখার জন্য অবশ্যই আবহাওয়ার দিকে অনেক খেয়াল রাখতে হবে।


    প্রযুক্তির তালিকাঃ আকাশ দেখার জন্য যেসব প্রযুক্তি আপনার হাতের নাগালের মাঝে আছে সেগুলি ব্যবহার করতে শিখুন। এগুলো কোন ওয়েবসাইট বা মোবাইল এপ্লিকেশনও হতে পারে। যেমন "Clear Sky Chart"। এই ওয়েবসাইট মূলত উত্তর আমেরিকার আকাশের অবস্থা সম্পর্কে তথ্য হালনাগাদ করে ব্যবহারকারীকে অভিহিত করে। 

    চাঁদকে খেয়ালে রাখুনঃ চাঁদের বিভিন্ন অবস্থার দিকে খেয়াল রাখা আকাশ দেখার জন্য একটি ভাল অনুশীলন। যেমন পূর্ণিমার কাছাকাছি সময় আকাশ দেখার জন্য মোটেও ভালো সময় নয়। এতে আকাশের অনেক অনুজ্জ্বল জ্যোতিষ্ক দেখা যায় না।তবে জোছনাটা উপভোগ করতে পারেন নিঃসন্দেহে। কিন্তু আমাবস্যা খুবই ভালো সময়। এসময় আলোকদূষণ অনেক কমে যায়।

    আলোক দূষণ থেকে দূরে থাকতে হবেঃ রাস্তার ল্যাম্পোস্ট,জ্বলন্ত গাড়ির হেডলাইট এবং যত রকমের উজ্জ্বল আলোর উৎস আছে, আকাশ দেখার সময় এড়িয়ে চলতে হবে। এমনকি আপনার মোবাইল ফোনের আলোও আকাশ দেখার সময় অন্ধকারে আপনার চোখকে থিতু হতে দেরী করিয়ে দেবে। 

    পারলে উঁচু স্থানে যেতে হবেঃ আমাদের বায়ুমন্ডল ধুলায় ভর্তি। তাছাড়া বাতাসেরও একটা নির্দিষ্ট পুরুত্ব আছে যা আলোকে বাঁকিয়ে দেয়। এতে আপনার টেলিস্কোপের দৃষ্টিশক্তি অনেক কমিয়ে দেবে।মাটি থেকে যত উপরে যাবেন এসব সমস্যা তত কমতে থাকবে। কারণ উঁচু জায়গাতে বাতাসের পুরুত্ব মাটির তুলনায় কম, তারমানে বাতাসের পরিমাণও কম। বাতাসের পরিমাণ কম মানে ধূলিও কম।     

    No comments

    Post Top Ad

    Post Bottom Ad