Header Ads

  • সর্বশেষ

    পৃথিবীর চাঁদের বায়ুমন্ডল।

    খুব অবাক হতে পারেন এটা পড়ে যে চাঁদে বায়ুমন্ডল! আসলো কোথা থেকে?
    চাঁদ আসলে প্রায় বায়ুশূন্য, সম্পূর্ণভাবে নয়। চাঁদের চারপাশে খুবই খুবই খুবই পাতলা গ্যাসের একটি স্তর আছে। এই স্তরের ঘনত্ব বাইরের মহাকাশের তুলনায় বেশী বলে এটাকে চাঁদের বায়ুমন্ডল বলাটাই যৌক্তিক। এই বায়ুমন্ডলের চাপ হল ০.৩ ন্যানো প্যাসকেল। এই চাপ দিনের বিভিন্ন সময় ওঠানামা করে। সম্পূর্ণ বায়ুমন্ডলের ভর ১০ মেট্রিক টনের বেশী হবেনা। কিন্তু বিজ্ঞানীরা মনে করের চাঁদের বায়ুমন্ডলের ঘনত্ব সুদূর অতীতে এর থেকে বেশী ছিল। কিন্তু বিভিন্ন কারণে চাঁদ তা ধরে রাখতে পারেনি। কারণ নিচের তিনটির যে কোনটি বা সবগুলিও হতে পারে।
    - চাঁদের গ্র্যাভিটির কারণে এগুলো চাঁদের মাটিতে শুষে গেছে। যেমন পৃথিবীর বেশীর ভাগ কার্বনডাই অক্সাইড চুনাপাথরে আটকে আছে।  
    - চাঁদের মুক্তিবেগ খুবই কম।মাত্র ২.৩৮ কিমি প্রতি সেকেন্ড। এর চেয়ে বেশী গতির গ্যাসের অনুগুলি চাঁদের মুক্তিবেগ পার করে ফেলবে এটা খুবই স্বাভাবিক। 
    - মহাকাশে হারিয়ে গেছে সূর্যের রেডিয়েশন প্রেসারে। গ্যাস যদি কোনও ভাবে আয়নিত হয় তবে তা সৌর বাতাসের ম্যাগনেটিক ফিল্ডের কারণে চাঁদ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে।
      
    চাঁদের এই পাতলা বায়ুমন্ডলেপৃথিবীর তুলনায় বেশ অদ্ভুত কিছু গ্যাস আছে যেমন সোডিয়াম ও পটাশিয়াম, যেগুলি পৃথিবীতে ধাতু এবং পৃথিবী, মঙ্গল বা শুক্রের বায়ুমন্ডলে পাওয়া যায়না। যদি সমুদ্র পৃষ্ঠে প্রতি ঘন সেন্টিমিটারে গ্যাসের অনুর সংখ্যা প্রায় ১০^১৯ টি হয়, সেখানে একই আয়তনে চাঁদের গ্যাসের অনুর সংখ্যা ১০^৬ টি। পৃথিবীতে এই অবস্থাকে খুবই ভাল ভ্যাকুয়াম ধরা হয়। ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন যে উচ্চতায় পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করছে সেখানে বায়ুমন্ডলের যা ঘনত্ব, চাঁদের পৃষ্ঠের বায়ুমন্ডলের ঘনত্ব প্রায় একই সমান। 
    চাঁদে পটাশিয়াম ও সোডিয়ামের অবস্থান ধরা হয়েছে পৃথিবীতে ব্যবহৃত স্পেক্ট্রোস্কোপিক মেথডে। চাঁদে রেডন-২২২ ও পোলোনিয়াম-২১০ আইসোটোপ ধরা গেছে, কিন্তু এটা আবিষ্কার হয়ছে লুনার প্রস্পেক্টর আলফা পারটিকেল স্পেক্ট্রোমিটার দিয়ে। এপোলো এস্ট্রোনটেরা চাঁদে যে ডিটেক্টর বসিয়ে এসেছিলেন তা থেকে আরগন-৪০, হিলিয়াম-৪, অক্সিজেন ও/বা মিথেন, নাইট্রোজেন ও/বা কার্বন মনোক্সাইড এবং কার্বন ডাই অক্সাইডের অস্তিত্বও পাওয়া গেছে।

    নিচে একটি ধারণা দেয়া হল দিনের বেলায় চাঁদে প্রতি ঘন সেন্টিমিটারে বিভিন্ন ধরণের মৌলিক পদার্থের কি পরিমাণ পরমাণু থাকতে পারে। 

    - আরগন ২০০০০-১০০০০০ টি
    - হিলিয়াম ৫০০০-৩০০০০ টি
    - নিয়ন ২০০০০ টি পর্যন্ত
    - সোডিয়াম ৭০টি
    - পটাশিয়াম ১৭টি
    - হাইড্রোজেন ১৭'র চেয়ে কম। 
    এ থেকে বোঝা যায় চাঁদে প্রতি ঘন সেন্টিমিটারে প্রায় ৮০০০০ পরমানু আছে যা আসলে বুধ গ্রহের বায়ুমন্ডলের চেয়েও বেশী। 

    No comments

    Post Top Ad

    Post Bottom Ad