আকাশ দেখাঃ পর্ব ০৭। নক্ষত্রের উজ্জ্বলতা ও রং।
অন্যান্য যেকোনো আলোর উৎসের মত নক্ষত্রেরও উজ্জ্বলতা আছে। এটা নির্ভর করে তার আকার, তাপমাত্রা ও পৃথিবী থেকে দূরত্বের উপর। এই উজ্জ্বলতার স্কেল কে ইংরেজীতে বলা হয় ম্যাগনিচুড। যে আলোর উৎসের ম্যাগনিচুড যত কম তার উজ্জ্বলতা তত বেশী। ম্যাগনিচুড দুই ধরণের, ১) ইন্ট্রিন্সিক ও ২) এপারেন্ট। আমরা খালি চোখে আকাশ পরিস্কার থাকলে সাধারণত ম্যাগনিচুড ১ থেকে ম্যাগনিচুড ৬ পর্যন্ত দেখতে পারি। ভালো বিনকিউলার হলে ম্যাগনিচুড ১০ পর্যন্ত দেখা যায়। যদি ১০ ইঞ্চি টেলিস্কোপ থাকে তবে ম্যাগনিচুড ১৪ পর্যন্ত দেখা যায়। ম্যাগনিচুড যত শূন্যের নিচের দিকে অর্থাৎ ঋণাত্মক হবে উজ্জ্বলতা তত বাড়বে। যেমন শুক্রের ম্যাগনিচুড -৪.৫, সূর্যের উজ্জ্বলতা সবচেয়ে বেশী, -২৬.৭৪।
কিন্তু রঙের ক্ষেত্রে কি? অনেকেই বলবেন তারাদের আবার রং কি হে!!! সবই তো সাদা দেখতে।
হ্যাঁ, প্রথমে তাকালে সব গুলিকেই সাদা দেখা যায়। কিন্তু অন্ধকারে চোখেরও মানিয়ে নিতে সময় লাগে। চোখ মানিয়ে নিতে থাকলে দেখবেন কোনও তারা লাল লাল, কোনটা একটুখানি কমলা, হলুদ বা মরা নীল। তারার রং নির্ভর করে তার তাপমাত্রার উপরে। তাপমাত্রা নির্ভর করে সমস্ত নক্ষত্রকে O,B,A,F,G,K ও M এই সাত ভাগে ভাগ করা হয়েছে। উপরের ছবিটি দেখলেই বুঝতে পারবেন। এই শ্রেণীবিভাজনকে হার্ভার্ড স্পেক্ট্রাল ক্লাসিফিকেশন বলে। নীল রঙের নক্ষত্রের তাপমাত্রা সবচেয়ে বেশী আর লাল রঙের তাপমাত্রা কম।
No comments