Header Ads

  • সর্বশেষ

    বৃহস্পতির ম্যাগনেটোস্ফিয়ার। MAGNETOSPHERE OF JUPITER ।

    বৃহস্পতির ম্যাগনেটোস্ফিয়ার হল গ্রহটির ম্যাগনেটিক ফিল্ড দিয়ে তৈরি একটি সৌর বাতাসের গর্ত। এই গর্ত সূর্যের দিকে প্রায় সাত মিলিয়ন কিলোমিটার বিস্তৃত এবং উল্টোদিকে প্রায় শনি গ্রহের কক্ষপথকে ছুঁয়ে ফেলেছে। সূর্যের হেলিওস্ফিয়ারের পর এটিই সৌরজগতের সবচেয়ে বড় একক জিনিস। এই ম্যাগনেটোস্ফিয়ারের ম্যাগনেটিক মোমেন্ট পৃথিবীর চেয়ে প্রায় ১৮,০০০ গুণ বেশী বড়। এই ম্যাগনেটোস্ফিয়ার ৫০ এর দশকের শেষের দিকে বৃহস্পতি থেকে আসা রেডিও এমিশন থেকে আবিষ্কার করা হয়। পরে ১৯৭৩ সালে পাইয়োনিয়ার ১০ স্পেস ক্র্যাফটের সাহায্যে সরাসরি পর্যবেক্ষণ করা হয়।


    বৃহস্পতির ম্যাগনেটিক ফিল্ড পৃথিবীর চেয়ে প্রায় ১৪ গুণ বেশী শক্তিশালী। বিষুব রেখার দিকে এর মাত্রা প্রায় ৪.২ গস আর মেরুর দিকে ১০-১৪ গস, যা বৃহস্পতির ম্যাগনেটিক ফিল্ডকে সূর্যের পর সৌরজগতের সবচেয়ে শক্তিশালী ম্যাগনেটিক ফিল্ডের অধিকারী বানিয়েছে। এই প্রচন্ড ম্যাগনেটিক ফিল্ডের কারণ হল বৃহস্পতির লিকুইড মেটালিক হাইড্রোজেনের কেন্দ্র। বৃহস্পতির চাঁদ আইও'র আগ্নেয়গিরির উদ্গীরনের ফলে প্রচুর পরিমানে সালফার ডাই অক্সাইড গ্যাস মহাকাশে প্রতিনিয়ত ছড়ায়। এই গ্যাস বৃহস্পতির চারিদিকে একটি বিশাল বলয়ের সৃষ্টি করেছে যা গ্যাস টরাস নামে পরিচিত। বৃহস্পতির ম্যাগনেটিক ফিল্ডের সাথে এই গ্যাস টরাস একই দিকে ও কৌণিক গতিতে ঘুরছে। এতে এই গ্যাস টরাস টি প্লাজমার সাথে মিশে একটি প্যানকেক আকৃতি নিয়েছে যাকে ম্যাগনেটোডিস্ক বলা হয়। তার মানে হল বৃহস্পতির ম্যাগনেটোস্ফিয়ার আইও'র নির্গত পদার্থ দিয়ে আকৃতি পেয়েছে, পৃথিবীর মত সৌর বায়ু দিয়ে নয়। এই উচ্চ শক্তির ম্যাগনেটিক ফিল্ডের কারণে বৃহস্পতির দুই মেরুতে স্থায়ী মেরুজ্যোতি বা অরোরা দেখা যায়। সেই সাথে বিভিন্ন মাত্রার রেডিও এমিশন ঘটায়। বৃহস্পতির অরোরা ইনফ্রারেড, ভিজিবল, আল্ট্রাভায়োলেট ও সফট এক্স-রে তে পর্যবেক্ষণ করা গেছে।
    বৃহস্পতির ম্যাগনেটোস্ফিয়ারের কারণে বৃহস্পতির চারিদিকে পৃথিবীর ভ্যান এলেন রেডিয়েশন বেল্টের মত একটি এলাকার সৃষ্টি হয়েছে যা পৃথিবীর টার চেয়ে কমপক্ষে হাজার গুণ শক্তিশালী।এই ম্যাগনেটোস্ফিয়ার প্রভাব বৃহস্পতির বড় চাঁদগুলি সহ গ্রহটীর পাতলা বলয় সিস্টেমের উপরও আছে।

    No comments

    Post Top Ad

    Post Bottom Ad