Header Ads

  • সর্বশেষ

    বৃহস্পতির চাঁদ আইও'র লাভার সমুদ্র লোকি পাটেরাতে লাভার ঢেউ তৈরি হয়।

    আইও, বৃহস্পতির বৃহত্তম চারটি চাঁদের একটি। ১৬১০ সালে গ্যালিলিও গ্যালিলি সর্বপ্রথম এটি দেখতে পান। ১৯৭০ সালে জ্যোতির্বিদেরা আবিষ্কার করেন যে এর উজ্জ্বলতার কমবেশি হয়। কিন্তু ১৯৭৯ সালে ভয়েজার ১ ও ভয়েজার ২ স্পেসক্র্যাফট এই গ্যাস জায়ান্ট বৃহস্পতির চারিদিকে ফ্লাইবাই করে, তখন আবিষ্কার হয় যে এই উজ্জ্বলতার ওঠানামার কারণ হল আইও'র পৃষ্টের ভলক্যানিক সক্রিয়তা।
    বৃহস্পতির চাঁদ আইও
    খুবই সাম্প্রতিক সময়ে আইও ও ইউরোপা (বৃহস্পতির চারটি গ্যালিলিয়ান মুনস এর আরও একটি চাঁদ)'র মাঝে অরবিটাল এলাইনমেন্ট ঘটে, যার ফলে আইও'র বৃহত্তম লাভা হ্রদ খুবই বিস্তারিত ভাবে পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হয়। আইও'র অবস্থান হল বৃহস্পতির চারটি গ্যালিলিয়ান চাঁদের সবচেয়ে ভেতরের দিকে। এই উপগ্রহটি হল ভলক্যানিক্যালি সৌরজগতের সবচেয়ে সক্রিয় জ্যোতিষ্ক। এর সবচেয়ে বড় লাভা হ্রদের নাম হল "লোকি পাটেরা।" 
    লোকি পাটেরার এপার থেকে ওপার প্রায় ২০০ কিমি, সম্পূর্ণ সারফেস এরিয়ার ক্ষেত্রফল হল প্রায় ২১,৫০০ বর্গ কিমি, কানাডার লেক অন্টারিও'র চেয়েও বড়। প্রতি প্রায় ৪০০-৬০০ দিনে লোকি পাটেরার উজ্জ্বলতা সর্বোচ্চ হয়। এর আরও একটি কারণ হতে পাড়ে নির্দিষ্ট সময় পর পর লাভার উদ্গীরন। উদ্গীরনের পর এই লাভা ব্যাপক এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে যায়।
    প্রকাশিত গবেষণাপত্রের প্রাথমিক লেখক ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, বারকেলীর একজন পিএইচডির ছাত্রী ক্যাথেরিন ডে ক্লেয়ার গত বুধবারে বলেন "যদি লোকি পাটেরা একটি লাভার সমুদ্র হয়, তবে এর নীচে যে পরিমাণ এলাকা জুড়ে লাভার মজুদ আছে তার আয়তন পৃথিবীর যে কোন আগ্নেয়গিরির ম্যাগমা চেম্বারের চেয়ে কমপক্ষে মিলিয়ন গুণ বড়। যখন লোকি পাটেরার সক্রিয়তা কম থাকে তখন উদ্গীরন হওয়া লাভা ঠান্ডা হয়ে যায়।এতে তার উজ্জ্বলতা কমে। কিন্তু যখন সক্রিয়তা বাড়ে তখন নতুন অত্যন্ত উত্তপ্ত লাভা উদ্গীরনের ফলে ঠান্ডা হওয়া অংশটি ডুবে যায়। নতুন অত্যন্ত উত্তপ্ত লাভার কারণে ঐ সময়ে এর উজ্জ্বলতা অনেক বেড়ে যায়।" 
    অবলোহিত রশ্মিতে লোকি পাটেরা
    সহজ ভাষায় বললে, লাভা হ্রদের উপরে যে লাভা থাকে তা নীচে থাকা ম্যাগমা চেম্বারের লাভার চেয়ে তুলনামূলক ঠান্ডা। যত ঠান্ডা হয়, উপরে থাকা লাভার আস্তরণ আরও মোটা ও ভারী হতে থাকে। একটা সময় আসে যখন নীচে থাকা লাভা উপরের মোটা ও ভারী আস্তরণ আর ধরে রাখতে পারেনা। তখন এটি ডুবে যায়। এতে এক ধরনের ঢেউ তৈরি হয় যার ফলে ঐ হ্রদে তৈরি হওয়া অন্যান্য আস্তরণও ডুবে যেতে থাকে ফলে নীচে থাকা অত্যন্ত উত্তপ্ত উজ্জ্বল লাভা সারফেসে উঠে আসে সম্পূর্ণ হ্রদ জুড়ে। 
    এই গবেষণায় যেসব ছবি ব্যবহার করা হয়েছে তা আরিজোনার লারজ বিনোকিউলার টেলিস্কোপ অবজারভেটিরী থেকে তোলা হয়েছে। এর যেদুটি আয়না আছে সেগুলো প্রত্যেকটি ২৭.৬ ফুট ব্যাসের। 

    No comments

    Post Top Ad

    Post Bottom Ad