Header Ads

  • সর্বশেষ

    আবিষ্কার হল নেপচুনের আকারের গ্রহ যেখানে পানি আছে।

    একটি আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিদদের দল একটি নেপচুন আকারের গ্রহ আবিষ্কারের ঘোষণা দিয়েছে যার বায়ুমন্ডলে পানি আছে। গ্রহটি পৃথিবী থেকে প্রায় ৪৩০ আলোকবর্ষ দূরে, অন্য একটি সৌরজগতে। এই গবেষণাটি পরিচালনা করে ইউনিভার্সিটি অব এক্সেটার’র একটি গবেষক দল। তাদের মতে তারা একটি “প্রাথমিক বায়ুমন্ডল” আবিষ্কার করেছেন যা থেকে আমরা আমাদের সৌরজগৎ ও অন্য সৌরজগতের গ্রহ গুলি কিভাবে তৈরি হয়।

    গ্রহটির অফিসিয়াল নাম দেয়া হয়েছে HAPT-P-26b। আরেকটি নাম দেয়া হয়ছে “উষ্ণ নেপচুন।“ এটা প্রমাণিত হয়েছে এই গ্রহটির ভর ও ব্যাসার্ধ আমাদের সৌরজগতের নেপচুন গ্রহের প্রায় সমান। কিন্তু নেপচুনের চেয়ে এটি অনেক উষ্ণ। গবেষণাটি “সায়েন্স” জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে এবং তিনটি ব্যাপারে আলোকপাত করা হয়েছে। ১) গ্রহটির বায়মন্ডলের প্রায় সম্পূর্ণটাই হাইড্রোজেন ও হিলিয়ামের তৈরি। ২) আকাশ তুলনামূলক পরিষ্কার। ৩) পানি থাকার ব্যাপারে প্রমাণ খুবই শক্তিশালী।
    ইউনিভার্সিটি অব এক্সেটার’র  প্রফেসর ডেভিড সিং তাঁর বক্তব্যে বলেছেন “ এই নতুন আবিষ্কার প্রমাণ করে যে আমারা আগে এই সব এক্সোপ্ল্যানেটের বায়ুমন্ডল নিয়ে যা ধারণা করতাম তার চেয়ে আরও অনেক বেশী অবাক হবার মত ব্যাপার আছে।“

    এই গবেষণার সময় দলটি ছয়টি “ট্রানজিট” ডেটা ব্যবহার করে। কোন গ্রহ যখন তার নক্ষত্রের সামনে দিয়ে যায়, এই ব্যাপারটাকে ট্রানজিট বলা হয়। ট্রানজিট ডেটা সংগ্রহ করা হয় নাসা’র হাবল স্পেস টেলিস্কোপ এবং স্পিটজার স্পেস টেলিস্কোপের মাধ্যমে। যখন একটি গ্রহ তার নক্ষত্রের সামনে দিয়ে যায় তখন ঐ নক্ষত্রের কিছু পরিমান আলো গ্রহটির বায়ুমন্ডলের ভেতর দিয়ে আসে। বায়ুমন্ডলে যে সব রাসায়নিক যৌগ দিয়ে তৈরি তার উপর নির্ভর করে কিছুটা আলো শোষিত হয়। এথেকেই জ্যোতিরসায়নবিদেরা বের করে ফেলেন ঐ গ্রহের বায়ুমন্ডল কি কি রাসায়নিক যৌগ দিয়ে তৈরি। কারণ একেকটি রাসায়নিক যৌগ একে ধরণের তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলো শোষণ করে।

    এই ডেটা থেকে ঐ গ্রহের মেটালিসিটি ও নির্ণয় করা হয়। কোন গ্রহের বা নক্ষত্রে হাইড্রোজেন ও হিলিয়ামের চেয়ে ভারী মৌলগুলি কি পরিমানে আছে সেটাই ঐ জ্যোতিষ্কের মেটালিসিটি। আমাদের সৌরজগৎ ও আরও দুটি অন্য সৌরজগতের ক্ষেত্রে দেখা গেছে তাদের গ্যাসীয় গ্রহ গুলির মেটালিসিটির পরিমাণ প্রায় একই সমান। যেমন নেপচুনের মেটালিসিটি সূর্যের চেয়ে প্রায় ১০০ গুণ বেশী, আর বৃহস্পতির প্রায় ৫০০ গুণ।

    .কিন্তু HAT-P-26b গ্রহের জন্য ব্যাপারটা অন্যরকম দেখা গেছে। এর মেটালিসিটি নেপচুনের চেয়ে বেশী হওয়া স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু এর মেটালিসিটি আমাদের সূর্যের চেয়ে মাত্র ৪.৮ গুণ।


    No comments

    Post Top Ad

    Post Bottom Ad