মঙ্গলে মনুষ্যবাহী প্রথম অভিযানে চাঁদে প্রায় এক বছর লে-ওভার নিতে হতে পারে।
কেউই লে-ওভার পছন্দ করেনা। মনে করেন আপনি ঢাকা থেকে
নিউ ইয়র্ক যাচ্ছেন। আপনাকে পরের প্লেনের জন্য দুবাইতে বা আবুধাবিতে এক ঘন্টা বা তারও বেশী
সময় ধরে অপেক্ষা করতে হয়। অপেক্ষার এই সময়টাকেই লে-ওভার বলে। তিন ঘন্টার বেশী লে-ওভার
খুবই বিরক্তিকর।
এত কিছু বলার কারণ হল মঙ্গলে যেসব এস্ট্রোনটেরা
প্রথম যাবেন, তাদের জীবনের অন্যতম বড় লে-ওভারের অভিজ্ঞতা নিতে হবে। তাদের পৃথিবী
থেকে বেরিয়ে প্রায় এক বছর চাঁদের চার পাশে প্রদক্ষিণ করতে হবে। লাল গ্রহ মঙ্গলে
যাত্রার সময় এই সুদীর্ঘ লে-ওভার অবশ্যই তাঁরা ভালোভাবে উপভোগ করবেন না। এটা খারাপ
খবর নয়, কারণ সেসময় এস্ট্রোনটেরা শুধু অপেক্ষাই করবেন না, নাসা কিছু পরিকল্পনাও
বাস্তবায়ন করবে। নাসা শুধু চায় যে মঙ্গলে যে প্রায় ১০০০ দিনের রাউন্ড ট্রিপ
পরিচালিত হবে তা যেন নিরাপদ ও ঝামেলা মুক্ত হয়।
সম্প্রতি নাসার গ্রেগ উইলিয়াম নাসার মঙ্গলে মানুষ
পাঠানোর অভিযানের দ্বিতীয় ধাপের পরিকল্পনা সবার সামনে প্রকাশ করেছে। এই ধাপ টি
পরিচালিত হবে ২০২০ এর দশকে। গ্রেগ উইলিয়াম নাসার হিউম্যান এক্সপ্লোরেশন এন্ড
অপারেশনস মিশন ডিরেক্টরেট এর পলিসি এন্ড প্ল্যানিং বিভাগের ডেপুটি এসোসিয়েট
ডিরেক্টর। তিনি বলেন নাসা চাঁদের চারিদিকে একটি “ডীপ স্পেস গেটওয়ে” বানাতে চায়, যা
প্রথম মনুষ্যবাহী মঙ্গল অভিযানের জন্য টেস্টিং গ্রাউন্ড হিসেবে ব্যবহার হবে। এখান
থেকেই মঙ্গলের উদ্দেশ্যে যাত্রাকারী স্পেসক্র্যাফট এস্ট্রোনটদের নিয়ে রওনা দেবে। “আমরা
যদি এই “ডীপ স্পেস ট্রান্সপোরটে”র এক বছর দীর্ঘ মিশনটি ঠিকমত পরিচালনা করতে পারি,
তবে আমার বিশ্বাস পরবর্তীতে কিভাবে প্রায় ১০০০ দিনের একটি মনুষ্যবাহী অভিযান
মঙ্গলে ঠিকমত পরিচালনা করা যায় তা খুব ভালবাবেই জানতে পারব।
নাসা এই মিশনের প্রথম ধাপ শুরু করবে ২০১৮ থেকে
২০২৬ সালের মাঝে। এই সময়ে নাসা চাঁদে চারটি মিশন পরিচালনা করবে যেগুলিতে মঙ্গলে
মানুষ পাঠানোর জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পাঠানো হবে। দ্বিতীয় ধাপ শুরু হবে ২০২৭
সালে। মূল মিশন যেটায় মানুষ পাঠানো হবে সেটা শুরু হবে ২০৩০’র দশকে। নিচের ছবিটি
দেখলেই বুঝতে পারবেন এই মিশনের জন্য নাসার পরিকল্পনা কি।
No comments