চন্দ্রগ্রহণ আসলে কি?
চন্দ্রগ্রহণে চাঁদ সরাসরি
পৃথিবীর ছায়ার ভেতর দিয়ে পার হয়। এ সময় সূর্য ও চাঁদের মধ্যবর্তী স্থানে পৃথিবী
থাকে। অর্থাৎ সূর্য, পৃথিবী ও চাঁদ একই সরলরেখায় অবস্থান করে। একটি চন্দ্রগ্রহণ
শুধুমাত্র পূর্ণিমার রাত্রিতেই হতে পারে। এই গ্রহণ কি ধরনের এবং কতক্ষণ ধরে হবে তা
নির্ভর করে চাঁদের কক্ষপথের উপর।
১৫ই এপ্রিল ২০১৪, ক্যালিফোর্নিয়া থেকে তোলা। |
একটি পূর্ণ
চন্দ্রগ্রহণে পৃথিবীর কারণে চাঁদের উপর পতিত সম্পূর্ণ সূর্যালোক বাঁধাপ্রাপ্ত হয়।
শুধুমাত্র পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে বিক্ষিপ্ত হয়ে যে আলোটুকু চাঁদে পৌছাতে পারে সেটা দেখা
যায়। যে কারণে চাঁদকে মাঝে মাঝে লাল দেখায় সেই একই কারণে সূর্যকেও লাল দেখায়। এর
কারণ হল নীল আলোর রেইলী স্ক্যাটারিং। এই লাল রঙের জন্য চন্দ্রগ্রহণের সময় মাঝে
মাঝে চাঁদকে “ রক্তিম চাঁদ” বা “ব্লাড মুন”ও বলা হয়।
২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৫ এর চন্দ্রগ্রহণ। |
সূর্যগ্রহণ যেমন পৃথিবীর
সামান্য কিছু এলাকা থেকে দেখা যায় চন্দ্রগ্রহণ কিন্তু তেমন না। চন্দ্রগ্রহণের রাতে
পৃথিবীর যে অংশেই রাত থাকুক না কেন, গ্রহণ দেখতে পাবার সম্ভবনা আছে। একটি
চন্দ্রগ্রহণ সাধারণত কয়েকঘন্টা ধরে চলমান থাকে, কিন্তু সূর্যগ্রহণ কিছু কিছু
জায়গাতে সর্বোচ্চ মাত্র কয়েক মিনিট হয়। এর কারণ হল পৃথিবী আকারে চাঁদের চেয়ে বড়।
ফলে পৃথিবীর ছায়াও চাঁদের চেয়ে বড়। সূর্যগ্রহণ যেমন খালি চোখে দেখা যায় না, তেমন
চন্দ্রগ্রহণ দেখার জন্য কোনও রকম সাবধানতার প্রয়োজন নেই।
No comments