Header Ads

  • সর্বশেষ

    যারা মনে করেন যে গ্রহাণুর আঘাতে পৃথিবীর ধ্বংস অনিবার্য, তাদের জন্য খারাপ সংবাদ দিলেন একজন গ্রহবিজ্ঞানী।

    যারা মনে করেন যে ঠান্ডা, অসাড়, বায়ুশূন্য মহাকাশ থেকে কোন একটা পাথরখন্ড এসে পৃথিবীকে ধ্বংস করে দেবে তাদের জন্য একটি দুঃসংবাদ আছে।একজন প্ল্যানেটারী সায়েন্টিস্ট বলেছেন যে পৃথিবীর কাছাকাছি যে সব গ্রহানু বানিয়ার আর্থ এস্টরয়েড বা NEA” আছে, পৃথিবীকে তাদের আঘাত হানার সম্ভবনা কম। আঘাত হানলেও তার ক্ষয়ক্ষতি যেমন আগে ধারনা করা হত, তার চেয়ে কম হবার সম্ভবনা রয়েছে।

    নাসাসহ পৃথিবীর আর কয়েক্ট মহাকাশ সংস্থা এইসবনিয়ার আর্থ এস্টরয়েড বা NEA” গুলিকে দীর্ঘদিন ধরে খুবই নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেণ সেই সাথে তারা ঠিক কতগুলিনিয়ার আর্থ এস্টরয়েড বা NEA” পৃথিবীর জন্য বিপদসীমার মাঝে আছে তা বের করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন।এসব নিয়েই গবেষণা করছেন এলান ডব্লিউ হ্যারিস। সাম্প্রতিককালে তিনি তার হিসাবের ভুল ধরতে পেরে তা সংশোধন করতে গিয়ে দেখেন যে পৃথিবীর কাছাকাছি থাকা এসবনিয়ার আর্থ এস্টরয়েড বা NEA” পৃথিবীর জন্য ততবেশি ভয়ঙ্কর নয় যতটা ভাবা হয়েছিল। হ্যারিস গত সপ্তাহে প্রোভো, ইউটাহতে হয়ে যাওয়া এমেরিকান এস্ট্রোনমিক্যাল এসোসিয়েশনের প্ল্যানেটারী সায়েন্সেস শাখার বার্ষিক সম্মেলনে এই গবেষণার প্রাপ্তি ঘোষণা করেন।

     
    প্ল্যানেটারী সায়েন্টিস্টরা সাধারণতনিয়ার আর্থ এস্টরয়েড বা NEA” এর কারনে আলোর প্রতিফলনের মাত্রা দিয়েনিয়ার আর্থ এস্টরয়েড বা NEA” এর ব্যাপারে বিভিন্ন ধরনের তথ্য বের করতে পারেন। এটা পরিমাপ করা হয়এবসলিউট ম্যাগ্নিচুডদিয়ে। এটা যে বস্তুর যত কম, সে বস্তু তত বেশী উজ্বল।নিয়ার আর্থ এস্টরয়েড বা NEA” এর ক্ষেত্রে এর হিসাবটা মাঝে মাঝেই ভুল হয়ে যায়, কারন উজ্বলতার সাথে এস্টরয়েড কতটা দীর্ঘ তা নির্ভর করে না। এমন কি সবচেয়ে সেরা টেলিস্কোপ দিয়েওনিয়ার আর্থ এস্টরয়েড বা NEA” এর আকার একদম সঠিকভাবে নির্ণয় করা যায়না।  
           
    ২০১৫ সালে হ্যারিস একজন ইটালিয়ান এস্ট্রোনমার হেরমানো ডেব্রামো ধারনা করেছিলেন প্রায় ৯৯০টি এক কিলোমিটার বা তার চেয়ে বড় এবং এবসলিউট ম্যাগনিচুড ১৭.৭৫ এর চেয়ে বেশী উজ্বল নিয়ার আর্থ এস্টরয়েড বা NEA” পৃথিবীর কাছাকাছি আছে।সাম্প্রতিক কালে যে হিসাবের গরমিল সংসোধন করা হয়েছে তা প্রকাশের পর এর সংখ্যা এখন ৯০১ থেকে ৯৪১ এর মাঝে বলে প্রকাশ করা হয়েছে। এর মানে হল প্রায় ৩০-৪০ টিনিয়ার আর্থ এস্টরয়েড বা NEA” এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি। আগের হিসেবে এর সংখ্যা ছিল ১০৬টি যেগুলি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না।
     
    এটা মজার যে আমরা এস্টরয়েড গুলির ব্যাপারে এখনও অনেক কিছুই জানিনা। যেমন এগুলি কি দিয়ে তৈরি, কিভাবে তৈরি হয়েছিল, তাদের পৃষ্ঠ কেন্দ্র কেমন ইত্যাদি।বলেন ইউনিভার্সিটি অব আরকানস এর একজন এস্ট্রোনমার কেইটলিন আহরেন্সযেহেতু এর থেকে আসা প্রতিফলিত আলোর মাত্রা সঠিকভাবে জানা গিয়েছে, এখন নিয়ার আর্থ এস্টরয়েড বা NEA” গুলি সম্পর্কে আর অনেক তথ্যই জানা যাবে।
    যারা মানব জাতির টিকে থাকার ব্যাপারে এখনও আশা ছাড়েননি, তাদের জন্য এটি একটি সুখবরই বটে। কারন এই গবেষণা এটাই প্রমান করছে নিকট ভবিষ্যতে পৃথিবীর বড় কোনও এস্ট্রয়েডের সাথে সংঘর্ষের সম্ভবনা কম।

    2 comments:

    1. যখন আল্লাহ্‌ ধরবেন, তখন গবেষণা করেও পাওয়া যাবে না। সেই সময় খবুই কম ইনশাআল্লাহ্‌।

      ReplyDelete
      Replies
      1. আল্লা কখন ধরবেন?

        Delete

    Post Top Ad

    Post Bottom Ad