Header Ads

  • সর্বশেষ

    সৌরজগতের ৫টি চাঁদ ও গ্রহ যেখানে বরফ থাকতে পারে।

    মহাকাশ অসংখ্য রহস্যের জায়গা। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এইসব রহস্যের খুবই ক্ষুদ্র অংশের উত্তর খুঁজে পেয়েছেন। আমরা কিন্তু জানি জীবনের জন্য কি কি উপাদান জরুরী, কিন্তু এখন পর্যন্ত জানিনা এইসব উপাদান ঠিক কোথায় এটা পাওয়া যাবে।
    এসব উপাদানের একটি হল পানি। হতে পারেই এটাই মূল উপাদান। আমাদের গবেষকেরা কিন্তু ইতোমধ্যেই জানেন আমাদের নিকট মহাকাশে কোথায় কোথায় পানি পাওয়া যেতে পারে। মিল্কিওয়ের কিছু গ্রহ এবং তাদের উপগ্রহে বিজ্ঞানীরা বরফ খুঁজে পেয়েছেন। কিন্তু এই বরফ যে সবসময় পানির হবে তা কিন্তু নয়। এটা এইসব বরফ মিথেন গ্যাসের বা নাইট্রোজেন গ্যাসেরও হতে পারে। আমরা পৃথিবীতে যে পানির অসীম মহাসাগর বা নদ-নদী বা মিঠাপানির হ্রদ, এগুলি এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুসারে আসলে খুবই বিরল। এমনও হতে পারে যেসব গ্রহ এখন বিরান মনে হয় সেগুলি হয়ত একসময় আমাদের পৃথিবীর মত পানিতে পরিপূর্ণ ছিল সুদূর অতীতে।
    শনি’র চাদঃ টাইটান এবং টেথিস।
    ক্যাসিনি স্পেসক্র্যাফট যখন শনিতে মিশনে ছিল, তখন এটা পৃথিবীতে অসংখ্য মূল্যবান ছবি তথ্য পাঠায়। এসবের মাঝে একটা ছিল যে শনির চাঁদ টাইটানে পানি থাকতে পারে। বিজ্ঞানীদের ধারণা সেখানে যে মরুভূমি আছে সেটা আসলে পানির বরফের তৈরি, তার ঠিক উপরের আস্তরণ হাইড্রোকারবনের। এর বায়ুমণ্ডলও হাইড্রোকারবনের তৈরি। সেখানে “টক্সিক হাইব্রিড আইস” ও থাকতে পারে শনি গ্রহের বায়ুমন্ডলে।
    শনির আরেক চাঁদ টেথিসেও বরফ আছে। বরং বিজ্ঞানীদের ধারণা এই চাঁদ পুরোটাই বরফের তৈরি। হয়ত কিছু পাথরও থাকতে পারে, কারণ টেথিসের ঘনত্ব পানির চেয়ে মাত্র ৩% কম। এই বরফ কিন্তু পানির কারণ পানির বরফের সূর্যের আলো প্রতিফলন ব্যাপকভাবে হয়।
    নেপচুনের চাঁদ ট্রাইটন।
    ট্রাইটন নেপচুনের সবচেয়ে বড় উপগ্রহ। এটি সৌরজগতের অন্যতম বস্তু যার বায়ুমন্ডল প্রায় সবটুকুই নাইট্রোজেন গ্যাসের তৈরি। এই চাঁদ এতটাই ঠান্ডা, যে সেখানে নাইট্রোজেন গ্যাস ঘনীভূত হয় তরল ও মাঝে মাঝে তাপমাত্রা আরও কমে গেলে তা জমে বরফেও পরিণত হতে পারে। এর দক্ষিণ মেরুর রঙ হালকা গোলাপী। এর মানে এখানে মিথেন গ্যাস থাকতে পারে।
    বৃহস্পতির চাঁদ ইউরোপা।
    বৃহস্পতির চাঁদ ইউরোপার একটি পৃষ্ঠ আছে যা বরফের তৈরি, এ কারনে এর ছবিও খুব সুন্দর আসে। এই পৃষ্ঠের উপর বিভিন্ন রঙের ছটা আছে। এই বিভিন্ন রঙের কারণ এখানে থাকা নানা ধরনের রাসায়নিক। এর ছবিতে যে নীল রঙের ছোপ, সেটার কারণ পানির বরফ বলে বিজ্ঞানীদের ধারণা। কিন্তু যেসব লাল বা বাদামী রঙ দেখা যাচ্ছে সেগুলো বরফের কারনে নয়, হয়ত অন্য কিছুর জন্য।
    মঙ্গল।
    মঙ্গলের এই ছবিটা মার্স গ্লোবাল সারভেয়র এর সাহায্যে তোলা। দেখা যাচ্ছে এই গ্রহের একটি আগ্নেয়গিরির চূড়ায় বরফের আস্তরণ। তাই বিজ্ঞানীদের ধারণা এখানে যথেষ্ট পরিমাণ পানি আছে। মার্স রিকনয়সেন্স অরবিটার যেসব ছবি পাঠিয়েছে তাতে জানা গেছে মঙ্গলের কিছু কিছু জায়গাতে পৃথিবীর গ্রেট লেক যত পানি আছে তার চেয়েও বেশী পানি আছে।

    No comments

    Post Top Ad

    Post Bottom Ad