এস্টেরয়েড বা গ্রহাণু কি কি ধরণের হতে পারে?
এস্টেরয়েড বা গ্রহাণু হল মহাকাশে চলমান পাথুরে বস্তু। এদের বেশীরভাগেরই অবস্থান মঙ্গল ও বৃহস্পতি গ্রহের কক্ষপথের মাঝামাঝি জায়গাতে। এই জায়গার নাম এস্টেরয়েড বেল্ট।
নীচের যে প্রকারগুলি দেয়া হল এগুলোকেও এস্টেরয়েড বলা হয়, তবে নাসা এদের “মাইনর
প্ল্যানেট বলতে বেশি পছন্দ করে।
-
ট্রোজানঃ এই ধরণের গ্রহাণু বা এস্টেরয়েডের কক্ষপথ ও কোনও একটি গ্রহের কক্ষপথ
একই হয়ে থাকে। বৃহস্পতি, মঙ্গল ও নেপচুনের ট্রোজান এস্টেরয়েড আছে। ২০১১ তে “নেচার”
জার্নালে পৃথিবীর প্রথম ট্রোজান এস্টেরয়েড 2011TK7 আবিষ্কারের কথা প্রকাশ হয়।
-
সেন্টরসঃ এদের পাওয়া যায় নেপচুন ও বৃহস্পতির কক্ষপথের মাঝে।
-
ট্রান্স-নেপচুনিয়ান অবজেক্টসঃ এদের অবস্থান নেপচুনের কক্ষপথের ওপারে।
এস্টেরয়েড কি দিয়ে তৈরি?
যেসব পদার্থ দিয়ে এস্টেরয়েড তৈরি সে অনুসারে নাসা এস্টেরয়েডদের তিন ভাগে ভাগ
করেছে। সেগুলি হলঃ
-
সি-টাইপঃ এই ধরণের এস্টেরয়েড মূলত কাদা ও সিলিকেট পাথরের তৈরি।
-
এস-টাইপঃ এরা সিলিকেট ও নিকেল-আয়রনের তৈরি হয়।
-
এম-টাইপঃ এসব এস্টেরয়েড শুধুমাত্র বিভিন্ন ধরণের ধাতু দিয়ে তৈরি।
মহাকাশের যে কোন বস্তুর কক্ষপথ যদি পৃথিবীর কক্ষপথের কাছাকাছি হয় তবে সেসব
বস্তুকে বলে নিয়ার আর্থ অবজেক্টস বা এস্টেরয়েড। এদেরকে আবার তিন ভাগে ভাগ করা
হয়েছে। সেগুলি হলঃ
-
এটিরাসঃ এদের কক্ষপথ পৃথিবীর কক্ষপথের চেয়ে ছোট এবং এদের কক্ষপথ পৃথিবীর
কক্ষপথের ভেতরে। অর্থাৎ বেশীরভাগ সময় এরা পৃথিবীর তুলনায় সূর্যের কাছাকাছি অবস্থান
করে।
-
এটেন ও এপোলোঃ এদের কক্ষপথ পৃথিবীর কক্ষপথকে ছেদ করে।
-
এমরসঃ এদের কক্ষপথ পৃথিবীর কক্ষপথের বাইরে কিন্তু মঙ্গলের কক্ষপথের ভেতরে।
আগামী জানুয়ারী ৭,২০১৮ তে 2017YJ7 নামের একটি এস্টেরয়েড বাংলাদেশ সময় সকাল আটটার কাছাকাছি সময়ে পৃথিবীর প্রায় ৪.৮
মিলিয়ন কিলোমিটারের ভেতর দিয়ে চলে যাবে। এটি একটি এটেন এস্টেরয়েড।
No comments