Header Ads

  • সর্বশেষ

    সূর্যের বৈশিষ্ট্যগুলি। Characteristics of The Sun.

    সূর্য হল জী টাইপ মেইন সিকুয়েন্স স্টার। সৌরজগতের ভরের ৯৯.৮৬% ভাগই হল সূর্যের। সূর্যের এবসোলিউট ম্যাগনিচুড হল +৪.৮৩। মিল্কিওয়ের ৮৫% ভাগ তারার চেয়ে বেশী উজ্জ্বল। মিল্কিওয়ের বেশীরভাগ তারা হল লাল বামন। সূর্য হল পপুলেশন ১ বা ভারী ধাতু বেশী আছে এমন তারা। সূর্যের তৈরির শুরুটা হয়েছিল কাছাকাছি কয়েকটা সুপারনোভা বিস্ফোরণের মধ্য দিয়ে। কারণ সূর্যে প্রচুর ভারী ধাতু বিদ্যমান, যেমন সোনা ও ইউরেনিয়াম।অন্য ধরণের তারার নাম হল পপুলেশন ২ বা ভারী ধাতু কম আছে এমন তারা।সূর্যের এইসব ভারী ধাতুর তৈরির কারণ হয়ত সুপারনোভা হবার সময় নিউক্লিয়ার রিএকশন। 

    এখন পর্যন্ত সূর্য আমাদের আকাশের সবচেয়ে উজ্জ্বল বস্তু। সূর্যের এপারেন্ট মাগনিচুড হল -২৬.৭৪। এর  মানে হল সূর্য পরবর্তী সবচেয়ে উজ্জ্বল তারার চেয়ে ১৩ বিলিয়ন গুন বেশী উজ্জ্বল। সিরিয়াস হল সূর্যের পরের উজ্জলতম তারা, যার এপারেন্ট মাগনিচুড -১.৪৬। সূর্যের কেন্দ্র থেকে পৃথিবীর কেন্দ্রের গড় দূরত্ব এক এস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিট। যদিও এই দূরত্বের পরিবর্তন ঘটে। এই দূরত্বে সূর্য থেকে আলো পৃথিবীতে আসতে ৮ মিনিট ১৯ সেকেন্ড লাগে। কিন্তু যখন পৃথিবী ও সূর্যের মাঝে দূরত্ব সবচেয়ে কম থাকে তখন আলো আসতে সময় লাগে ৮ মিনিট ১৭ সেকেন্ড। সূর্যালোকের সাহায্যে সালোকসংশ্লেষণ হয়। সূর্যই পৃথিবীতে সকল শক্তির উৎস। সূর্যের শক্তিই পৃথিবীর আবহাওয়া নিয়ন্ত্রন করে।  
    সূর্যের কোণ নির্দিষ্ট সীমানা নেই। এর কেন্দ্র থেকে বাইরের দিকে ঘনত্ব কমেছে।সূর্যের ব্যাসার্ধ হিসেবে সূর্যের কেন্দ্র থেকে ফটোস্ফিয়ার (সৌরপৃষ্ঠ) পর্যন্ত ধরা হয়। সূর্য একটি পারফেক্ট গোলক, এর বক্রতা প্রায় নয় মিলিয়ন ভাগের এক ভাগ। এর মানে হল মেরুর ব্যাসার্ধ ও ক্রান্তীয় ব্যাসার্ধের মাঝে পার্থক্য হল মাত্র প্রায় দশ কিলোমিটার। অন্যান্য গ্রহগুলির গ্র্যাভিটি সূর্যের আকারে কোন প্রভাব ফেলেনা। সূর্য তার ক্রান্তীয় অঞ্চলে মেরু অঞ্চলের চেয়ে দ্রুত ঘোরে। এই পার্থক্যের কারণ হল তাপের কারনে পরিচলন গতি এবং সূর্যের ঘূর্ণনের জন্য হওয়া কোরিওলিস বল। 

    No comments

    Post Top Ad

    Post Bottom Ad