Header Ads

  • সর্বশেষ

    ৫১ পেগাসি। 51 Pegasi

    ৫১ পেগাসি এর অন্য নাম হেল্ভেটিওস। এটি সূর্যের মত একটি তারা। দূরত্ব ৫০.৯ আলোকবর্ষ। পেগাসাস কন্সটিলেশনে অবস্থিত। এটাই প্রথম নক্ষত্র যেখানে এক্সোপ্ল্যানেট আবিষ্কার হয়েছিল। গ্রহটির নাম ৫১ পেগাসি বি। আরেক নাম বেলেরোফোন,পরে নাম রাখা হয় ডিমিডিয়াম।

    তারাটির এপারেন্ট ম্যাগনিচুড +৫.৪৯, তার মানে হল উপযুক্ত পরিবেশ থাকলে এটা খালি চোখেই দেখা যায়। ৫১ পেগাসি জি৫ভি শ্রেণীর একটি মেইন সিকুয়েন্স তারা। এরা কেন্দ্রে হাইড্রোজেনের থারমোনিউক্লিয়ার ফিউশনের মাধ্যমে শক্তি তৈরি করে। এর ক্রোমোস্ফিয়ারের তাপমাত্রা প্রায় ৫৫৭১ কেলভিন হওয়ায় এর রং হলুদ দেখায়। ধরা হয় ৫১ পেগাসি'র বয়স প্রায় ৬.১ থেকে ৮.১ বিলিয়ন বছর। তার মানে হল এই তারাটি সূর্যের চেয়ে পুরোনো। এর ব্যাসার্ধ সূর্যের চেয়ে ২৪% বেশী এবং ভরে ১১% বেশী। সূর্যের চেয়ে এই নক্ষত্রের মেটালিসিটি বেশী। মেটালিসিটি'র অর্থ কি পরিমাণ ভারী মৌলিক পদার্থ আছে। যে সব তারার মেটালিসিটি বেশী, তাদের গ্রহ থাকার সম্ভবনা বেশী। ১৯৯৬ সালে ব্যালিউনাস, সকোলফ ও সুন পর্যবেক্ষণ করে দেখেন যে তারাটি নিজে অক্ষের উপর ৩৭ দিকে একবার পাক খায়। 

    জ্যোতির্বিদ জিওফ মারসি ৫১ পেগাসি বি এক্সোপ্ল্যানেট টি আবিষ্কার করেন এবং নাম রাখেন বেলেরোফোন। গ্রীক মিথোলজিতে বেলেরোফোন পাখাওয়ালা ঘোড়া পেগাসাস এ চড়ে বেড়াতো। ২০১৪ সাল থেকে ইন্টারন্যাশনাল এস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিয়ন এক্সোপ্ল্যানেট ও তাদের তারাদের নতুন ভাবে নামকরণ পদ্ধতি চালু করে। এই পদ্ধতিতে সাধারণ জনগণও কোন নাম ও তাদের ভোট দিতে পারত। ২০১৫ সালে ইন্টারন্যাশনাল এস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিয়ন বেলেরোফোনের নতুন নাম দেয় ডিমিডিয়াম ও নক্ষত্রের নাম দেয় হেল্ভেটিওস। নাম দুটি দাখিল করেছিলেন সুইজারল্যান্ডের গেসেলশ্যাফট লিউজারন। হেল্ভেটিওস হেলভেশিয়ানের  ল্যাটিন শব্দ, আদিম কালে সুইজারল্যান্ডে বসবাসকারী উপজাতি কেল্টিকদের অন্য নাম। "অর্ধেক" এর ল্যাটিন শব্দ হল ডিমিডিয়াম। এমন নামের কারণ গ্রহটির ভর বৃহস্পতির ভরের অর্ধেক। 

    No comments

    Post Top Ad

    Post Bottom Ad