Header Ads

  • সর্বশেষ

    নেপচুনের নামকরণ কিভাবে করা হয়?

    নেপচুনের আবিষ্কারের পর এর নাম দেয়া হয় “ইউরেনাসের থেকে দূরের গ্রহ।“ আবার কেউ কেউ একে বলত “লা ভ্যারিয়ার’স প্ল্যানেট। এরপর প্রথম নামের প্রস্তাবনা আসে গ্যালের কাছে থেকে, নাম প্রস্তাব করা হয় “জানুস”। ইংল্যান্ডে ক্যালিস এর নাম দেন “ওশিয়ানিস”।

    নতুন গ্রহের নাম দেবার খ্যাতি পাবার জন্য লা ভ্যারিয়ার দ্রুত গ্রহটির নাম প্রস্তাব করে “নেপচুন”। উড়ো খবর আছে যে ফ্রেঞ্চ ব্যুরো দে লঙ্গিচুড এই নাম অনুমোদন দেয়। কিন্তু পরের অক্টোবর মাসে লে ভ্যারিয়ার আবার গ্রহটির নাম দেন “লা ভ্যারিয়ার।” যে মানমন্দিরে গ্রহটি আবিষ্কার হয় তার পরিচালক ফ্রাংকোস এরাগো এই নাম সমর্থন করেন। এই প্রস্তাবনা ফ্রান্সের বাইরে সমর্থন পায়না। তাই ফ্রেঞ্চ এলাম্নাক দ্রুত ইউরেনাস এর নাম রাখে গ্রহটির আবিষ্কারক উইলিয়াম হারশেলের নামানুসারে “হারশেল” এবং নতুন গ্রহের নাম ঠিক করে “লেভ্যারিয়ার।“


    ২৯শে ডিসেম্বর ১৮৪৬ সালে সেইন্ট পিটারসবারগ একাডেমী অব সায়েন্সেস এর স্ট্রুভ গ্রহটির নাম হিসেবে “নেপচুন” কে সমর্থন দেন। তারপর দ্রুতই নেপচুন নামটিই আন্তর্জাতিক মহল গ্রহণ করে নেয়। রোমান পুরানে নেপচুন হল সাগরের দেবতা, যেমন গ্রীক পুরানে সাগর দেবতার নাম হল পসাইডন। পৌরাণিক দেবতাদের নামানুসারে গ্রহদের নামকরনের ধারাটি সে সময় সকলেই গ্রহন করেছে। পৃথিবী বাদে অন্যান্য সব গ্রহের নামকরণ করা হয়েছে রোমান ও গ্রীক দেবতাদের নামানুসারে।

    অনেক ভাষাভাষীদের মাঝে, এমনকি যাদের মাঝে রোমান বা গ্রীক সংস্কৃতির কোনও ছায়াও নেই, তারাও “নেপচুন” নামটী ব্যাবহার করা শুরু করে। চাইনিজ, জাপানিজ ও কোরিয়ান ভাষায় গ্রহটির নামের অনুবাদ করা হয় “সী কিং স্টার।“ মঙ্গোলিয়ার ভাষায় গ্রহটির নাম “দালাইন ভ্যান” বা সাগরের দেবতা। আধুনিক গ্রীকদের অনুসারে গ্রহটির নাম দেয়া হয় “পসাইডোন।“ ২০০৯ সালে একাডেমী অব হিব্রু ল্যাঙ্গুয়েজ এর নাম “নেপচুন” থাকার পরও দাপ্তরিক নাম দেয় “রাহাব”। রাহাব হল একটি কল্পিত সামুদ্রিক দানব। মাওরী ভাষায় এই গ্রহকে বলা হয় “টাঙ্গারোয়া।“ যার মানে হল সাগরের মাওরী দেবতা। নাহুয়াতি ভাষায় গ্রহটির নাম রাখা হয় “তিয়ালোক্লিটলাল্লি।“ বৃষ্টির দেবতা “তিয়ালোক” এর নামানুসারে। থাই ভাষায় এরও নাম দেয়া হয় “দাও নেপজুন”। আরেকটি নাম দেয়া হয় “দাও কেতু।“  

    No comments

    Post Top Ad

    Post Bottom Ad